কলকাতাঃ নারী-পুরুষের মধ্যে দিন দিন Infertilityর সমস্যা বাড়ছে। উভয়ের সন্তানহীনতার নেপথ্যেই রয়েছে জীবনযাত্রায় অনিয়ম। খাদ্যাভ্যাসের জটিলতা, মাত্রাতিরিক্ত শারীরিক-মানসিক চাপ। এ সবের প্রকোপেই এই সমস্যা দিন দিন বাড়ছে।
Conceiveএর জন্য যেমন সুস্থ স্বাভাবিক ডিম্বাণু প্রয়োজন, ঠিক তেমনই প্রয়োজন সুস্থ-সবল-সচল শুক্রাণু, সেই সঙ্গে প্ৰয়োজন গর্ভাশয়। এই তিনটির মধ্যে কোনও একটি দূর্বল থাকলে baby conceiveএর ক্ষেত্ৰে চলে আসেন নানা ধরনের সমস্যা।

প্ৰতিনিধিত্বমূলক ছবি, সৌঃ ইন্টারনেট
শুক্রাণুর গুণগত মান কোনও কারণে খারাপ হলে অথবা শুক্রাশয় থেকে শুক্রাণু নির্গমনের পথ সুগম না হলে, তখন Infertility আসতে পারে। সাম্প্ৰতিককালে চিকিৎসা শাস্ত্রে প্রভূত উন্নতির ফলে অনেকেই বাবা-মা হওয়ার সাধ পূরণ করতে পারছেন।
সম্প্রতি Infertilityর চিকিৎসায় আরও এক ধাপ এগিয়ে নতুন আবিষ্কার করলেন বিজ্ঞানীরা! তাঁরা এক প্রকার প্রোটিন আবিষ্কার করেছেন যা, শুক্রাণু-ডিম্বাণুর পুষ্টির পাশাপাশি নিষেকের সময় গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করতে পারবে বলে বিজ্ঞানীরা মনে করছেন। প্রোটিনটির নাম দেওয়া হয়েছে, ‘মাইয়া’। গ্রিসের মাতৃত্বের দেবীর নাম অনুসারে এই প্রোটিনের নামকরণ করা হয়েছে। সায়েন্স অ্যাডভান্সেস জার্নালে প্রকাশিত গবেষণা অনুযায়ী, বংশবিস্তারের ক্ষেত্রে গ্যামেট ফিউশন একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। বিজ্ঞানীরা এক প্রকার প্রোটিন-৩ ধরনের রিসেপ্টার এফসি আবিষ্কার করেছেন। তা নিষেকের সময়ে ডিস্বাণু যে শুক্রণুর সাহায্যে নিষিক্ত হতে চাইছে, সেই শুক্রণুটির প্রোটিনের সঙ্গে দৃঢ় ভাবে আবদ্ধ হতে সাহায্য করে।
এছাড়াও IUI (ইন্ট্রা ইউটেরাইন ইনসেমিনেশন), DI (ডোনার ইনসেমিনেশন), ইকসি (ইন্ট্রা সাইটোপ্লাজমিক স্পার্ম ইঞ্জেকশন অর্থাৎ Intracytoplasmic sperm injection) এবং টেসা (টেস্টিকুলার স্পার্ম অ্যাসপিরেশন অর্থাৎ Testicular sperm aspiration (TESA))- পদ্ধতিতে চিকিৎসা করে বহু দম্পতি বাবা-মা হওয়ার স্বপ্ন পূরণ করতে সফল হয়েছেন। এইসব পদ্ধতি বন্ধ্যত্বের চিকিৎসায় অসাধারণ এক বিপ্লব বলা যায়। এ ছাড়াও রয়েছে IVF পদ্ধতি। তবে এই সব পদ্ধতিগুলি বেশ খরচসাপেক্ষ, যা মধ্যবিত্তের ধরা ছোয়ার বাইরে।
তবে ব্যয়সাপেক্ষ হলেও নতুন এই আবিষ্কারটি Infertility দূরীকরণের ক্ষেত্রে একটি যুগান্তকারী আবিষ্কার বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা।