নয়াদিল্লিঃ Russia-Ukraine সংঘাত নিয়ে ‘শান্তিপূর্ণ আলোচনা’ চায় ভারত এবং প্ৰতিবেশী দেশ চিন। ‘শান্তিপূর্ণ আলোচনা’-য় সমর্থন জানিয়েছে ভারত ও চিন। যুদ্ধের আট মাসের মাথায় তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য করেছেন Russiaর প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। শুক্রবার এক সাংবাদিক বৈঠকে একথা বলেন তিনি।
প্রসঙ্গত, সেপ্টেম্বরেই উজবেকিস্তানের সমরখন্দে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন রুশ প্রেসিডেন্ট। সেখানে ‘এটা যুদ্ধের যুগ নয়’ বলে পুতিনকে সতর্ক করে দেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। প্রত্যুত্তরে প্রেসিডেন্ট পুতিন বলেছিলেন, “ইউক্রেন যুদ্ধে ভারতের অবস্থান জানে রাশিয়া।” সব কিছু খুব দ্রুত শেষ হবে বলেও আশ্বাস দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু এক মাসের মধ্যেই ভারতের অবস্থান নিয়ে রুশ প্রেসিডেন্টের গলায় শোনা গেল ভিন্ন সুর। আন্তর্জাতিক মঞ্চে ভারতকে পাশে পেতেই পুতিন এমন মন্তব্য করেছেন বলে দাবি কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশের।
প্ৰসঙ্গত উল্লেখ্য যে, Ukraineএর গুরুত্বপূর্ণ জায়গাগুলোকে লক্ষ্য করে বেশিরভাগ ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে রাশিয়া। ফলে ইউক্ৰেনের অনেক এলাকা বিদ্যুৎবিহীন হয়ে পড়েছে। নেই পর্যাপ্ত পরিমাণে জলের সরবরাহ, ঘর গরম রাখার ব্যবস্থা অচল হয়ে গেছে।
সাম্প্রতিক মাসগুলোতে রাশিয়ার দখল করা অনেক এলাকা থেকে রুশ বাহিনীকে হটিয়ে দিয়ে পুনরুদ্ধার করেছে Ukraineএর বাহিনী। বাধ্য হয়ে তিন লাখ সৈন্যের রিজার্ভ তলব করতে হয়েছে Russiaকে। অন্যদিকে ইউক্রেনকে আরও সামরিক সহায়তার ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এই প্রেক্ষাপটে Ukraine জুড়ে ব্যাপক ক্ষেপণাস্ত্র আর বিমান হামলা শুরু করেছে রাশিয়া।
শুক্ৰবার সাংবাদিক বৈঠকে রাশিয়ার প্ৰেসিডেন্ট বলেন- ইউক্রেন যুদ্ধের জন্য তাঁর কোনও পরিতাপ নেই। এটা ঠিক যে এই লড়াইতে ইউক্রেনের হাজার হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে। একের পর এক শহর ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। কিন্তু এর কোনটাই তাঁকে দুঃখ দিচ্ছে না।
Russia সঠিক পথেই চলছে বলে দাবি সেদেশের প্ৰেসিডেন্ট Vladimir Putinএর। পাশাপাশি, মস্কোর উপর নিষেধাজ্ঞা চাপানোর জন্য আমেরিকা-সহ পশ্চিমী দেশগুলির কড়া সমালোচনা করেছেন তিনি।
গত ৮ অক্টোবর Russiaর দখলে থাকা ক্রিমিয়ার কের্চ সেতুতে ভয়ঙ্কর বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। বিস্ফোরণের জেরে সেতুর একাংশ উড়ে গিয়ে ক্রিমিয়ার সঙ্গে সড়কপথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে মস্কোর। সেই ঘটনার নেপথ্যে ইউক্রেনের হাত রয়েছে বলে দাবি করেছে ক্রেমলিন। এরপর থেকেই ইউক্রেনের উপর আক্রমণ বাড়িয়েছে রাশিয়া।