নয়াদিল্লিঃ বাচ্চা হচ্ছে না। তাই কুসংস্কারের (Superstition) কবলে পড়ে এক মহিলাকে গর্ভধারনের জন্য মানুষের হাড়ের গুড়ো খেতে বাধ্য করানোর ঘটনা প্ৰকাশ্যে এল। ঘটনায় জড়িত সন্দেহে স্বামী, শ্বশুর সহ মোট ৭ অভিযুক্তের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করেছে পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে মহারাষ্ট্ৰের পুনেতে (Pune in Maharashtra)।
বুধবার ওই মহিলা তাঁর স্বামী সমেত শশুরবাড়ির ৭ জন সদস্যের বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযুক্তদের খোঁজে শুরু হয়েছে তল্লাশি। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ভুক্তভোগী ওই মহিলার দীর্ঘদিন ধরে কোনও সন্তান না হওয়ায়, শ্বশুরবাড়ির লোকজন (In-laws) এক তান্ত্রিকের (Local occultist) দ্বারস্থ হয়। ওই তান্ত্রিক গর্ভধারনের (to conceive a child) জন্য মানুষের হাড়ের (Powdered human bones) গুড়ো খাওয়ানোর পরামর্শ দেয়। এরপর শ্বশুরবাড়ির লোকজন মহিলাকে হাড়ের গুড়ো খেতে বাধ্য করে।
পুনে সিটি পুলিশের (Pune City Police) ডেপুটি কমিশনার সুহেল শর্মা (Deputy Commissioner of Police Suhail Sharma) জানিয়েছেন, ঘটনা জড়িত ৭ অভিযুক্ত পলাতক। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪৯৮এ, ৩২৩, ৫০৪ এবং ৫০৬ ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিশ। অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে বলেও জানিয়েছে ওই পুলিশ আধিকারিক।
পুনে পুলিশে (Pune Police) ভুক্তভোগী ওই মহিলা (Woman) জানিয়েছেন- ২০১৯ সালে তাঁর বিয়ের পর থেকেই পণের দাবিতে তাঁর ওপর অত্যাচার শুরু হয়। সোনা, রূপো অলংকার সমেত নগদ অর্থের দাবি করে শশুরবাড়ির লোকজন। অন্যদিকে সন্তান জন্ম না হওয়ার কারণে তাঁর ওপর অত্যাচারের মাত্ৰা বাড়তে থাকে। অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন তিনি। ওই মহিলা আরও জানান- তাঁকে কবরস্থানে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। এবং সেখানে মানুষের হাড়ের গুড়ো (Powdered human bones) খেতে বাধ্য করা হয়। ভিডিও কলের মাধ্যমে ওই তান্ত্ৰিক শ্বশুরকে যা যা নির্দেস দিচ্ছিল সেটাই তাঁকে দিয়ে করানো হচ্ছিল। শ্বশুরের বিশ্বাস মহিলার বাচ্চা না হওয়ার সমস্যা কালা জাদুর মাধ্যমে সমাধান হবে। পুলিশ ঘটনার তদন্তে নেমেছে।