গুয়াহাটি: গত ২২ নভেম্বর অসম-মেঘলয়ের সীমান্তে মুখরোহে পুলিশের গুলিতে ৬ জনের মৃত্যু হয়। তার মধ্যে ৫ জন Meghalayaর স্থানীয় লোকজন ছিলেন। সেই ঘটনা নিয়ে গোটা পাহাড়ি রাজ্য শিলঙে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে রয়েছে। তারই প্ৰতিবাদে শনিবার “সেভ হাইনিউট্রেপ মিশনের” (Save Hynniewtrep Mission) অধীনে মেঘালয়ের প্রেসার গ্রুপগুলি শিলংয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Union Home Minister Amit Shah), মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী কনরাড কে. সাংমা (Meghalaya Chief Minister Conrad K. Sangma) এবং অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা (Assam CM Himanta Biswa Sarma)র কুশপুতুল দাহ করে।
চাপ গোষ্ঠীর কর্মীরা শিলংয়ে CM Conrad Sangam সরকারি বাসভবনের কাছে বিক্ষোভ দেখিয়েছে। বিক্ষোভকারীরা দীর্ঘদিন ধরে অমীমাংসিত সীমান্ত বিরোধ সমাধানে কেন্দ্র, Meghalaya এবং Assam সরকারের ব্যর্থতার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে।
Hynniewtrep Youth Council (HYC) (General secretary Roy Kupar Synrem) সাধারণ সম্পাদক রায় কুপার সিনরেম বলেন- গত ২২ নভেম্বর মুকরোহ গুলির ঘটনাটি আন্তঃরাজ্য সীমান্ত বিরোধ সমাধানে কেন্দ্র, অসম এবং মেঘালয় সরকারের উদাসীনতার ফল।
এইচওয়াইসি নেতা সাংবাদিকদের বলেন, “সীমান্ত বিরোধ সমাধানে তিন সরকারের পক্ষ থেকে গুরুত্ব না দেওয়ার কারণে মুকরোহর গুলি চালানোর ঘটনা ঘটেছে।”
অন্যদিকে, মেঘালয় শনিবার সকাল সাড়ে ১০ টা থেকে থেকে আরও ৪৮ ঘন্টার জন্য প্রভাবিত সাতটি জেলায় ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রেখেছে।
মহ্গলবারের ওই ঘটনার পর Meghalayaএর ক্ষতিগ্রস্থ জেলাগুলিতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অত্যন্ত খারাপ ছিল। চারদিন পর ধীরে ধীরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসছে। শিলং-এ দোকানপাট ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান খোলা হয়েছএ, রাস্তায় চোখে পরার মতো যানজট দেখা গেছে।
এ সম্পর্কে একজন পুলিশ কর্মকর্তা জানিয়েছেন- রাস্তায় টায়ার পোড়ানোর মতো কয়েকটি বিক্ষিপ্ত ঘটনা বাদে, গত ২৪ ঘন্টার মধ্যে Shillongএ তেমন কোনও বড় ঘটনা ঘটেনি। কিছু কিছপ এলাকায় হিংসা যাতে আর না ছড়ায় তার জন্য ১৪৪ ধারা লাগু রয়েছে, পরিস্থিতি সামাল দিতে ভারী নিরাপত্তাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।