নয়াদিল্লিঃ রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের (Queen Elizabeth II) শেষকৃত্যে অংশ নেবেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু (Droupadi Murmu)। এই উপলক্ষে ১৭ থেকে ১৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত লন্ডনে থাকবেন তিনি। এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের সূত্রে এমনটাই জানা গেছে। উল্লেখ্য, ১৯ সেপ্টেম্বর শেষকৃত্য সম্পন্ন হওয়ার কথা দ্বিতীয় এলিজাবেথের।
বিদেশ মন্ত্রকের বিবৃতিতে বলা হয়েছে- ” যুক্তরাজ্যের প্রাক্তন রাষ্ট্রপ্রধান এবং কমনওয়েলথ অফ নেশনস-এর প্রধান রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ, গত ৮ সেপ্টেম্বর মারা গেছেন। রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু, ভাইস প্রেসিডেন্ট (Vice President) জগদীপ ধানখড় এবং প্রধানমন্ত্রী Narendra Modi রাণী দ্বিতীয় এলিজাবেথের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন বিদেশ মন্ত্রী ড. এস জয়শঙ্কর ভারতের সমবেদনা জানাতে ১২ সেপ্টেম্বর নয়াদিল্লিতে ব্রিটিশ হাইকমিশনে গিয়েছিলেন। ভারত ১১ সেপ্টেম্বর রবিবার একটি জাতীয় শোক দিবসও পালন করেছে, “।
বিবৃতিটিতে আরও বলা হয়েছে যে রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথের রাজত্বের ৭০ বছরে, ভারত ও যুক্তরাজ্যের (UK) মধ্যে সম্পর্ক ব্যাপকভাবে সমৃদ্ধ এবং শক্তিশালী হয়েছে। ব্রিটিশ রানী ৮ সেপ্টেম্বর স্কটল্যান্ডের বালমোরাল ক্যাসেলে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। ব্রিটিশ রানী তার সত্তর দশকের শাসনকালে স্থিতিশীলতা এবং ভারসাম্যের পরিচয় দিয়েছেন। ইউনাইটেড কিংডম (UK) আনুষ্ঠানিকভাবে শোকের সময় নির্ধারণ করেছে, সারা বিশ্ব থেকে সমবেদনা ও শ্রদ্ধা জানানো হবে।
লন্ডনের সরকারী প্রতিবেদন অনুসারে, কিং চার্লস তৃতীয় সোমবার স্থানীয় সময় সকাল ১১টায় অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার আগে রবিবার সন্ধ্যায় Londonএর বাকিংহাম প্যালেসে বিদেশী নেতাদের জন্য একটি সংবর্ধনার আয়োজন করবেন।
যুক্তরাজ্যের গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, রাশিয়া, বেলারুশ এবং মিয়ানমারকে রাষ্ট্রীয় অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। মিয়ানমার, যা মস্কোকেও সমর্থন করেছে, আমন্ত্রণ তালিকায় নেই কারণ গত বছর একটি সামরিক অভ্যুত্থান অং সান সুচির সরকারকে অপসারণের পর থেকে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশটির সাথে যুক্তরাজ্যের আনুষ্ঠানিক কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই। আমন্ত্রণ জানানো হলেও, চলতি সংঘাতের কারণে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির উপস্থিতির সম্ভাবনা কম।
উল্লেখ্য যে, গত বৃহস্পতিবার স্কটল্যান্ডের বালমারোল রাজ প্রাসাদে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ। সোমবার এডিনবরায় সেন্ট জাইলস ক্যাথিড্রালে শেষবারের জন্য রানিকে বিদায় জানান হাজার হাজার মানুষ। স্কটিশ রাজধানীর পথে রানির কফিনের সঙ্গে পা মিলিয়েছিলেন তাঁর চার সন্তান-রাজা তৃতীয় চার্লস, প্রিন্সেস অ্যান, প্রিন্স অ্যান্ড্রু ও প্রিন্স এডওয়ার্ড। হলিরুড প্যালেস থেকে ক্যাথিড্রালে নিয়ে আসা হয় রানির দেহ। প্রিয় রানির কফিন একবার চোখের দেখা দেখতে এডিনবরার রাস্তার দু’পাশে নেমেছিল মানুষের ঢল।
স্কটল্যান্ডে অনুষ্ঠান শেষে মঙ্গলবার স্থানীয় সময় রাত ৮টা নাগাদ Londonপৌঁছয় কফিন। রাজধানীতে রাজা তৃতীয় চার্লস ও ‘কুইন কনসর্ট’ ক্যামিলা গ্রহণ করেন সেই কফিন।
বুধবার ওয়েস্টমিনস্টার হলে রাখা হয় রানির দেহ। এদিন সন্ধ্যা পাঁচটা থেকে আগামী সোমবার শেষকৃত্যের আগে সন্ধ্যে সাড়ে ছ’টা পর্যন্ত আমজনতা রানিকে অন্তিমশ্রদ্ধা জানাতে পারবেন। তারপর ওইদিনই ওয়েস্টমিনস্টার অ্যাবেতে স্বামী ফিলিপের পাশেই সমাহিত করা হবে তাঁকে।