নয়াদিল্লিঃ দুর্গাপুজোর প্ৰাক্কালে ফের নারী নির্যাতনের অভিযোগ উঠল। উত্তরপ্রদেশ (Uttar Pradesh)এর বরেলিতে গণধর্ষণের (Gang rape) শিকার হলেন এক অন্তঃসত্ত্বা নারী।
ধর্ষণের পরই দেখা গেল তাঁর গর্ভপাত হয়ে গিয়েছে। সেই মৃত ভ্রূণ হাতে নিয়ে পুলিশের কাছে অভিযোগ জানাতে যান তাঁর পরিবারের সদস্যরা। যদিও পুলিশের দাবি, প্রাথমিক তদন্ত যতটা এগিয়েছে, তাতে দেখা গিয়েছে ওই মহিলা গর্ভবতী ছিলেন না এবং তাঁর গণধর্ষণও হয়নি। বিষয়টি নিয়ে ধোঁয়াশার সৃষ্টি হয়েছে।
এই ঘটনার তিন অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। যদিও বুধবার পুলিশ জানিয়েছে, ওই মহিলা আদৌ অন্তঃসত্ত্বাই ছিলেন না। এবং তাঁকে ধর্ষণও করা হয়নি। তাদের দাবি, অভিযুক্তদের সঙ্গে ওই পরিবারের গণ্ডগোল ছিল। আর সেই কারণেই মিথ্যে অভিযোগ করা হচ্ছে। বরেলি পুলিশের তরফে একটি টুইট করে জানানো হয়েছে, Medical পরীক্ষায় পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে নির্যাতিতা অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন না।
এদিকে, নির্যাতিতার পরিবারের অভিযোগ, গত ১৩ সেপ্টেম্বর ওই মহিলাকে গণধর্ষণ করা হয়। তিনি তিন মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। ক্ষেতের কাজ সেরে বাড়ি ফেরার পথে মাঠের মধ্যে নিয়ে তাঁকে ধর্ষণ করে দুষ্কৃতীরা। তারপর সেখানেই নির্যাতিতাকে ফেলে দিয়ে পালিয়ে যায় তারা। পরে পরিবারের সদস্যরা তাঁর বাড়ি ফিরতে দেরি হওয়ায় খুঁজতে বেরোন। আর তখনই দেখা যায় রক্তাক্ত অবস্থায় ওই মহিলা পড়ে আছেন মাঠের পাশে। দ্রুত তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপরই জানা যায়, ওই মহিলার গর্ভপাত হয়ে গিয়েছে। এরপর মৃত ভ্রূণটি নিয়ে থানায় যান তাঁর পরিবারের সদস্যরা।
বরেলি থানার পুলিশ জানিয়েছেন- যদি দেখা যায় পরে গর্ভপাতের প্রমাণ মিলেছে, তাহলে তারা মেডিক্যাল বোর্ডকে পাঠিয়ে সেই হিসেবে তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যাবেন।