নয়াদিল্লিঃ প্রধানমন্ত্রী Narendra Modi মঙ্গলবার Gujaratএর মরবি সেতু দুর্ঘটনাস্থলে যান। যেখানে গত রবিবার শতাব্দী পুরানো সেতু ভেঙে পড়ে, ১৪১ জনের মৃত্যু হয়। দুর্ঘটনাস্থলে প্রধানমন্ত্রীকে অনুসন্ধান ও উদ্ধার অভিযান সম্পর্কে অবহিত করা হয়।
সেতু পরিদর্শনের পরই প্রধানমন্ত্রী মরবির civil hospitalএ পৌঁছন। সেখানে সেতু দুর্ঘটনায় আহতদের চিকিৎসা চলছে। মোদী তাঁদের সঙ্গে কথা বলেন, তাঁদের খোজখবর নেন। প্রধানমন্ত্রীকে তাঁদের স্বাস্থ্যের খোজখবর নিতে দেখা গেছে।
মোদী হাসপাতালে যাবেন খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালের বাস্তবের কদর্য রূপ ঢাকতে রাতারাতি সিভিল হাসপাতালে মেরামতি করানো হয় এমনটাই জানা গেছে।
Gujaratএর মরবিতে ব্রিটিশ আমলের ঝুলন্ত সেতু, যা মার্চ মাস থেকে সংস্কারের জন্য বন্ধ ছিল। সাধারণ মানুষের প্ৰবেশের জন্য দিন কয়েক আগেই খুলে দেওয়া হয় সেতুটি। রবিবার রাতে অত্যধিক মানুষের ভিড়ে ভেঙে পড়ে সেতুটি। ফলে সেতুটি ঠিকঠাক সংস্করণ নিয়ে প্ৰশ্নের মুখে প্ৰশাসন। কর্মকর্তাদের মতে, নিহতদের মধ্যে অন্তত ৪৭ জন শিশু, বেশ কয়েকজন নারী ও বৃদ্ধ রয়েছেন।
নথিপত্ৰে দেখা গেছে যে সেতুটি নির্ধারিত সময়ের পাঁচ মাস আগেই জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে। ওরেভা গ্রুপ (The Oreva Group) যে সংস্থাটি সেতুটি সংস্কার করেছে, সেতুটি খোলার আগে নাগরিক কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে ফিটনেস শংসাপত্র নেয়নি, জনপ্ৰিয় সংবাদ মাধ্যমকে মরবি পৌর সংস্থার প্রধান সন্দীপসিংহ জালা একথা জানিয়েছেন।
রক্ষণাবেক্ষণ ও মেরামতের জন্য অন্তত আট থেকে ১২ মাসের জন্য সেতুটি বন্ধ রাখার জন্য কোম্পানিকে চুক্তিবদ্ধ করা হয়েছিল। পুলিশ একটি FIRএ বলেছে- যে গত সপ্তাহে সেতুটি খোলা একটি “গুরুতর দায়িত্বজ্ঞানহীন এবং অসতর্কমূলক (“seriously irresponsible and careless gesture” ) কাজ ছিল।
রবিবার ৪০০ জনেরও বেশি লোকের কাছে টিকিট ₹ ১২ থেকে ₹ ১৭ বিক্রি করা হয়েছিল। কর্মকর্তারা বলেছেন, যার ফলে “ঝুলন্ত সেতুতে” ভিড় ছিল, অত্যধিক ওজনের ফলে পুরানো ধাতব তারগুলি ছিড়ে যায়। গুজরাটের ফরেনসিক ল্যাবরেটরিতেও দেখা গেছে, মানুষের প্রচণ্ড ভিড়ের চাপে সেতুটি ভেঙে পড়েছে।
সেতু ভেঙে যাওয়ার পর লোকজন একে অপরের ওপরে পড়ে যায়। ভিডিওগুলিতে অনেককে মরিয়া হয়ে সেতুর অবশিষ্টাংশে আঁকড়ে ধরে দেখা গেছে। কয়েকজনকে বাঁচার জন্য সাঁতার কাটতে দেখা গেছে। সেতু ভেঙে দুর্ঘটনায় নিহতদের জন্য বুধবার রাজ্যব্যাপী শোক দিবস ঘোষণা করেছেন Gujaratএর মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র প্যাটেল।