নয়াদিল্লিঃ সোমবার কেন্দ্রীয় পরিবহণ মন্ত্রী Nitin Gadkari বলেছেন, সড়ক নিরাপত্তা বাড়াতে সাধারণ মানুষের মানসিকতা বদলাতে হবে। মন্ত্রী বলেন, “মানুষ মনে করে, ব্যাক-সিটারদের বেল্টের দরকার নেই। এটা একটা সমস্যা। আমি কোনো দুর্ঘটনা নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে চাই না। কিন্তু সামনের ও পিছনের সিটার উভয়েরই সিট বেল্ট পরতে হবে।”
তিনি আইএএর গ্লোবাল সামিট – নেশনস অ্যাজ ব্র্যান্ডস-এ বক্তব্য রাখার সময় বলেন- নাম প্ৰাকাশে অনিচ্ছুক তিনি ৪ জন মুখ্যমন্ত্রীর গাড়িতে ভ্রমণ করেছেন। তিনি দেখেন গাড়িতে একটি ক্লিপ ছিল যাতে কোনও শব্দ না হয়। কোন বেল্ট ছিল না। চালকদের জিজ্ঞেস করেন বেল্টগুলো কোথায় এবং তিন গাড়ি শুরু করার আগে সিট বেল্ট পরেছিলেন।
রপ্তানীর সময় প্রস্তুতকারী সংস্থাগুলি গাড়িতে ছয়টি এয়ারব্যাগের সুবিধা দিয়ে থাকে! কিন্তু দেশের ব্যবহারের ক্ষেত্রে কেন চারটি এয়ারব্যাগ থাকবে? তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নীতিন গড়করি। শুধু তাই নয়, রাস্তায় মানুষের জীবনের কি কোনও দায় নেই? এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এই বিষয়ে কড়া মন্তব্য মন্ত্রীর।
এই প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে মন্ত্রী জানান, এই বিষয়ে গাড়িপ্রস্তুতকারী সংস্থাগুলির নাকি দাবি বেশি এয়ারব্যাগ ব্যবহারে গাড়ির দাম বেড়ে যায়। একটি এয়ার ব্যাগ লাগাতে গাড়িতে সর্বাধিক ৯০০ টাকা নেওয়া যেতে পারে বলে দাবি নীতিন গড়করির।
তিনি বলেন – গাড়িতে ৬টি এয়ার ব্যাগ লাগানো বাধ্যতামূলক করা হবে। দীর্ঘদিন ধরে গাড়িতে ৬টি এয়ার ব্যাগ লাগানোর বিষয়ে তিনি জোর সওয়াল করেছেন। এমনকি সংসদেও এই বিষয়ে আলোচনা করেছেন।
তিনি আরও জানান- মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে বলিউড তারকা, ক্রিকেটার ও মিডিয়ার সহায়তা নেওয়া হচ্ছে।
Cyrus Mistryর দুর্ঘটনাকে খুবই দুর্ভাগ্যজনক বলে আখ্যা দিয়ে মন্ত্ৰী বলেন- এটা দেশের জন্য একটি বড় ধাক্কা। সাইরাস মিস্ত্ৰি তাঁর খুব ভালো বন্ধু ছিলেন। প্ৰসঙ্গক্ৰমে নীতিন গড়করি আরও বলেন- ‘‘আমাদের সমস্যা হল আমাদের দেশে প্রতি বছর ৫ লক্ষ দুর্ঘটনা ঘটে এবং ১ লক্ষ ৫০ হাজার মৃত্যু হয়। তার মধ্যে ৬৫ শতাংশই ১৮ থেকে ৩৪ বছর বয়সী। “
প্ৰসঙ্গত উল্লেখ্য যে, রবিবার একটি গাড়ি দুর্ঘটনায় টাটা সন্সের প্রাক্তন চেয়ারম্যান Cyrus Mistry মারা যাওয়ার পরে মন্তব্যটি এসেছে। পুলিশের তদন্তে জানা গেছে যে Cyrus Mistry গাড়ির পিছনের আসনে ছিলেন।তিনি সিট বেল্ট পরেছিলেন না। মুম্বই-আমেদাবাদ হাইওয়েতে সূর্য নদীর সেতুর উপর দিয়ে যাওয়ার সময় ডিভাইডারে ধাক্কা মারে গাড়িটি। গাড়িটি দ্রুতগতিতে ছিল। দ্ৰুত গতিতে থাকার কারণে নিয়ন্ত্ৰণ হারিয়ে ডিভাইডারে ধাক্কা লাগে বলে জানা গেছে।