গুয়াহাটি: মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্ট প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর (PM Narendra Modi) উপর বিবিসি ডকুমেন্টারিতে(BBC Documentary) ভারতের নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। একটি মৌলিক গণতান্ত্রিক নীতি হিসাবে মত প্রকাশের স্বাধীনতার গুরুত্বের উপর জোর দিয়েছে।
কিছুদিন আগেই তথ্যচিত্ৰটি ফেসবুক(Facebook), ইউটিউব(Youtube) সমেত সব ধরনের সমাজমাধ্যম (Social Media) থেকে সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্ৰের BJP সরকার । এই বিষয়ে পাকিস্তানের এক সাংবাদিক আমেরিকার বিদেশ দফতরের এক মুখপাত্ৰকে প্ৰশ্ন করলে, তিনি জানান- আমেরিকা স্বাধীন এবং মুক্ত গণমাধ্যমের কথা বলে। ভারতের ক্ষেত্ৰেও একই কথা বলা হবে।
বুধবার একটি প্রেস বিবৃতির সময়, মুখপাত্র নেড প্রাইস (Spokesperson Ned Price) আরও বলেন- ‘‘আমরা সর্বদাই গণতান্ত্রিক মূল্যবোধকে সব চেয়ে বেশি গুরুত্ব দেব। একই সঙ্গে গুরুত্ব দেব মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, সকল ধর্মের সহাবস্থান, মানবাধিকারের মতো বিষয়গুলিকেও।” প্রাইসের এই মন্তব্য বাইডেন প্রশাসনের তরফে ভারতের উদ্দেশে একটি বার্তা বলেই মনে করা হচ্ছে।
ওয়াশিংটন (Washington) বিশ্বজুড়ে একটি মুক্ত সংবাদপত্রের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছে। ভারতের সাথে তার সম্পর্কের ক্ষেত্রেও একই রকম উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
তিনি জোর দিয়েছিলেন যে গণতান্ত্রিক নীতিগুলির গুরুত্ব তুলে ধরা অপরিহার্য, যেমন মত প্রকাশের স্বাধীনতা, এবং ধর্ম বা বিশ্বাসের স্বাধীনতা, মানবাধিকার যা আমাদের গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করতে অবদান রাখে।
ব্ৰিটিশ সংবাদ মাধ্যম BBC-র তৈরি করা এক ঘন্টার ওই তথ্যচিত্ৰটিতে দুই দশক আগে গুজরাতের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্ৰী নরেন্দ্ৰ মোদীর জমানায় গোধরা কাণ্ড এবং তার পরবর্তী সাম্প্ৰদায়িক হিংসার কথা তুলে ধরা হয়েছে। ‘দ্য মোদী কোয়েশ্চেন’(The Modi Question) তথ্যচিত্ৰটি নিয়ে শুরু থেকেই আপত্তি জানিয়ে আসছিল কেন্দ্ৰীয় সরকার। একে ‘অপপ্ৰচার’ আখ্যা দিয়ে দাবি করা হয়েছে- ঔপনিবেশিক মানসিকতা থেকে তথ্যচিত্ৰটি তৈরি।