নয়াদিল্লিঃ জম্মু ও কাশ্মীরে ভূমিপুত্র না হলেও মিলবে ভোটাধিকার। উপত্যকায় ঐতিহাসিক ঘোষণা নির্বাচন কমিশনের। বুধবার কেন্দ্র শাসিত প্রদেশটির মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক হৃদেশ কুমার জানান, রাজ্যে বসবাসকারী দেশের অন্যপ্রান্তের লোকজনও এবার থেকে ভোটাধিকার পাবেন।
এদিকে, এই ঘোষণার পর থেকেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। প্রতিবাদে সরব হয়েছে উপত্যকার রাজনৈতিক দলগুলি। এই ঘোষণার পরই প্রতিবাদে সরব হয়েছেন জম্মু ও কাশ্মীরেরে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা ও মেহবুবা মুফতি। তাঁদের অভিযোগ, ভিনরাজ্য থেকে ভোটার আমদানি করে নির্বাচনের ফলাফল প্রভাবিত করতেই এই পদক্ষেপ করেছে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার।
প্রদেশটির মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক হৃদেশ কুমার বলেন, “ভোটার তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্তির জন্য ডোমিসাইল সার্টিফিকেট লাগবে না। জম্মু ও কাশ্মীরে কর্মরত সশস্ত্র বাহিনীর জওয়ানরাও ভোটার তালিকায় নাম লেখাতে পারবেন। এছাড়া, বাইরে থেকে আসা চাকরিজীবী, পড়ুয়ারাও ভোট দিতে পারবেন।” তিনি আরও জানান- নতুন এই সিদ্ধান্তের ফলে প্রায় ২৫ লক্ষ নতুন নাম ভোটার তালিকায় ঢুকতে চলেছে।
প্ৰসঙ্গত উল্লেখ্য যে, কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা রদ হওয়ার পর দেশের আর পাঁচটা রাজ্যের মতোই নিয়ম চালু হয়েছে উপত্যকাতেও। এর ফলে জনবিন্যাস ও রাজ্যের স্বকীয় পরিচয় নষ্ট হবে বলে অভিযোগ পিডিপি তথা ন্যাশনাল কণফারেন্সের মতো আঞ্চলিক দলগুলির।
কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা রদ হওয়ার পর প্রভাবশালী মুফতি ও আবদুল্লা পরিবার কার্যত কোণঠাসা। এহেন পরিস্থিতিতে নির্বাচন কমিশনের নতুন ঘোষণা ও আসন পুনর্বিন্যাস প্রক্রিয়ার ফলে নির্বাচনে কিছুটা লাভবান হবে গরুয়া শিবির এমনটাই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে, জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা রদ করার পাশাপাশি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল দু’টির জন্য নয়া ‘ডোমিসাইল’ আইন প্রণয়ন করে কেন্দ্র। এই আইন মেনেই ২০২০ সালে ১২ লক্ষ ৫০ হাজার মানুষকে দেওয়া হয়েছে ডোমিসাইল সার্টিফিকেট।