নয়াদিল্লিঃ দেশে ফের একবার বিতর্কের কেন্দ্ৰে হালাল আর ঝটকা মাংস। রাজ ঠাকরের দল মহারাষ্ট্র নবনির্মান সেনা বা MNS এই হালাল এবং ঝটকা মাংসের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করার কথা ঘোষণা করেছে।
শুধু তাই নয়, MNS-এর পক্ষ এই মাংসের সঙ্গে সন্ত্রাসবাদকে (Terrorism) যুক্ত করে প্রচার চালানো হচ্ছে এমনটা যানা যাচ্ছে। তাঁদের এর মাধ্যমে সন্ত্রাসবাদীদের কাছে পৌঁছে যায় মূলধন। তবে মহারাষ্ট্রে এই প্রথম নয়, এর আগে কর্ণাটকেও এই ঝটকা এবং হালাল মাংস নিয়ে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছিল।
এবার হালাল কী? অনেকেই যানেন না এর বিষয়ে। হালাল হলো পশু হত্যার এক বিশেষ পদ্ধতি। এবার হালাল করার পদ্ধতিটা কী? পশুর গলার সামনের দিকটা কাটা হয় এমনভাবে যাতে তার শিরদাঁড়ায় চোট না লাগে, তার মানে কাটা হয় গলা, শ্বাস নলি, জুগুলার ভেইন। পশুটি রক্তক্ষরণ হয়ে মারা যায়, তারপর তাকে খাদ্য বা অন্যান্য যে কোনও কাজে ব্যবহার করা হয়, এই পদ্ধতিকেই হলাল বলা হয়।
পশু হত্যার আর একটি পদ্ধতি হলো ঝটকা। ঝটকা হলো এক কোপে হত্যা করার পদ্ধতি। ঝটকা পদ্ধতিতে হত্যার সময়, ঘাড়ের পিছনের দিকে (dorsal neck) আঘাত করা হয় যাতে মস্তকের খুলিকে মেরুদণ্ডের সুষুম্নাকাণ্ড (spinal cord) থেকে নিমেষে পৃথক করা হয়। কেবল ঘাড়ের অংশ কাটাই (cervical dislocation)-ই নয়, বরং এক আঘাতে মাথাকে শরীর থেকে আলাদা করাই এর উদ্দেশ্য। তাই এই পদ্ধতিতে ব্যবহৃত হয় অপেক্ষাকৃত ভারী এবং ধারালো অস্ত্র।
MNS-এর দাবি, ‘হালাল মাংস যেভাবে বাজার ছেয়ে ফেলেছে তাতে ঝটকা মাংসের ব্যবসায় বিরাট ক্ষতি হচ্ছে। যে করেই হোক মহারাষ্ট্রে হালাল পদ্ধতি বন্ধ করতে চাইছে MNS। মহারাষ্ট্ৰের আঞ্চলিক দলটি দরকার হলে আন্দোলনের মাধ্যমে আরও মানুষকে একত্ৰ করে তাদের আন্দোলনকে জোরদার করে তুলতে।
প্রসঙ্গত, এর আগে MNS মসজিদের বাইরে লাউডস্পিকার বসানো নিয়ে আন্দোলন করার হুমকি দিয়েছিল।
মহারাষ্ট্ৰ নবনির্মান সেনা (MNS)র এই আন্দোলন সমাজে কতটা প্ৰভাব ফেলতে পারে সেটাই এখন দেখার।