নয়াদিল্লিঃ মুম্বইয়ের পালঘরের কাছে একটি সড়ক দুর্ঘটনায় গত রবিবার প্রাণ হারান Tata Sons-এর প্রাক্তন চেয়ারম্যান সাইরাস মিস্ত্রি। Mercedes Benz GLC গাড়িতে অহমেদাবাদ থেকে মুম্বই ফিরছিলেন তিনি। বৃহস্পতিবার Mercedes Benz দুর্ঘটনার তদন্তের রিপোর্ট প্ৰাকাশ্যে আনলো।
রিপোর্টে বলা হয়েছে, দুর্ঘটনার পাঁচ সেকেন্ড আগে পর্যন্ত ঘণ্টায় ১০০ কিলোমিটার স্পিডে চলছিল সাইরাসের গাড়িটি। গাড়িটি চালাচ্ছিলেন পারিবারিক বন্ধু Darius Pandole-র স্ত্রী ও মুম্বইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালের বিশিষ্ট স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ Anahita Pandole। তাঁর পাশের আসনেই ছিলেন Darius। সিট বেল্ট পরে থাকা ও এয়ার ব্যাগ খুলে যাওয়ার কারণে প্রাণে বেঁচে যান তাঁরা। বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে এই দম্পতি। তবে গুরুতরভাবে আঘাতপ্ৰাপ্ত। পিছনের আসনে বসে সিট বেল্ট না পরার কারণে মৃত্যু হয় Jahangir Pandole ও Cyrus Mistryর।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ব্রেক কষার পর, ১০০ কিমির গতিতে থাকা একটি গাড়ির থামতে সময় লাগা উচিৎ তিন থেকে চার সেকেন্ড। রিপোর্ট অনুযায়ী দুর্ঘটনার পাঁচ সেকেন্ড আগে করা হয় ব্রেক। তাই ডিভাইডারে ধাক্কা মারার আগেই থেমে যাওয়া উচিৎ ছিল গাড়িটির। ধাক্কা মারলেও, খুব ধির গতিতে ধাক্কা মারা উচিৎ ছিল গাড়িটির। সেখানে পাঁচ সেকেন্ডে মাত্র ১১ কিমির স্পিড কেন কমল বিশ্বের অন্যতম সেরা বিলাসবহুল গাড়ি প্রস্তুতকারী সংস্থার এই গাড়িটির? তবে কী গাড়ির ব্রেকেই ছিল কোনও সমস্যা? প্রশ্ন উঠেছে তা নিয়েই।
বিস্তারিত তথ্য জোগাড় করতে আগামী ১২ সেপ্টেম্বর গাড়িটি তাদের শোরুমে নিয়ে যাবে Mercedes Benz। এই গাড়িটি পরিদর্শন করতে Hong Kong থেকে একটি দল খুব শীঘ্রই ভারতে এসে পৌঁছবে। তারাই এই দুর্ঘটনা সম্পর্কে বিশদ তথ্য দেবেন।
গত রবিবার পালঘরের কাছে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ডিভাইডারে গাড়িটি ধাক্কা মারলে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় পিছনের আসনে বসা সাইরাসের। প্রাণ হারান তাঁর পাশের আসনে বসা Jahangir Pandole।
ঘটনার পরই তদন্তে নামে মহারাষ্ট্র পুলিশ। দুর্ঘটনার পিছনে থাকা কারণ অনুসন্ধান করতে তদন্তে নামে Mercedes Benz। সংস্থার পক্ষ থেকে একটি দল পাঠানো হয় দুর্ঘটনা স্থলে। গাড়িটির টায়ার প্রেসার ও ব্রেক ফ্লুইড লেভেল খতিয়ে দেখেন তাঁরা। তারপরই প্রকাশিত হল সংস্থার তরফে তদন্তের রিপোর্ট।