নয়াদিল্লিঃ নয়াদিল্লির প্ৰাক্তন উপ মুখ্যমন্ত্ৰী মণীশ সিসোদিয়া(Former Deputy CM Manish Sisodia, Delhi)কে এবার হোলি তিহার জেলেই কাটাতে হবে। সোমবার তাঁকে বিশেষ CBI আদালত ২০ মার্চ পর্যন্ত বিচারবিভাগীয় হেফাজতে পাঠিয়েছে।
গত রবিবার দিল্লির বিশেষ CBI আদালতে সিবিআই অভিযোগ করে যে, সুরা দুর্নীতির তদন্তে সহযোগিতা করছেন না দিল্লির প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী সিসোদিয়া(Manish Sisodia)। তদন্তকারী সংস্থার তরফে তাঁকে আরও ৩ দিনের জন্য হেফাজতে নেওয়ার দাবি জানানো হয়। সেই আবেদন ‘আংশিক’ মেনে বিচারক আরও ২দিনের জন্য সিসোদিয়া(Manish Sisodia)কে CBI হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন।
সিসোদিয়া(Manish Sisodia)র আইনজীবী তাঁর জামিনের পক্ষে সওয়াল করে জানিয়েছিলেন, তাঁর মক্কেলের স্ত্রী গুরুতর অসুস্থ। পাশাপাশি তিনি বলেন, ‘‘সিবিআইয়ের অদক্ষতা কখনওই জামিন না পাওয়ার কারণ হতে পারে না।’’
এর আগে আপ নেতা সিসোদিয়া অভিযোগ করে বলেছেন- CBI আধিকারিকরা তাঁকে একই প্ৰশ্ন বারবার জিজ্ঞেস করে মানসিকভাবে হেনস্থা করছেন। তারপর বিশেষ আদালতের বিচারপতি এমকে নাগপাল সিসোদিয়া(Manish Sisodia)কে বারবার একই প্ৰশ্ন করা যাবে না। নতুন কোনও প্ৰশ্ন থাকলে জিজ্ঞাস করতে পারবে সিবিআই।
কেন্দ্ৰীয় তদন্তকারী সংস্থা CBI সিসোদিয়া(Manish Sisodia)কে জিজ্ঞাসাবাদের সময় তিনি সহযোগিতা করেননি বলে অভিযোগ তুলেছে।
সিসোদিয়া(Manish Sisodia)র বিরুদ্ধে সুরা দুর্নীতিতে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে, যদিও পরে সেই অভিযোগ তুলে নেওয়া হয়। কেজরিওয়াল সরকারের বিরুদ্ধে নিয়ম ভঙ্গ করার এবং মদ বিক্রির লাইসেন্সধারীদের অতিরিক্ত সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়।
প্ৰসঙ্গত সুরা দুর্নীতি মামলায় জড়িত থাকার অভিযোগে দফায় দফায় প্ৰায় ৮ ঘন্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর গত ২৬ ফেব্ৰুয়ারি সিসোদিয়াকে গ্ৰেফতার করে সিবিআই। এরপর পরের দিন অর্থাৎ ২৭ ফেব্ৰুয়ারি সিসোদিয়াকে দিল্লির রাউস এভিনিউ আদালতে হাজির করানো হয়। সেখানে বিচারক তাঁকে ৫ দিনের CBI হেফাজতে পাঠান। সেই সময় সীমা শেষ হওয়ার পর তাঁকে আদালতে হাজির করানো হয়। তার আগে জামিনের আর্জি জানিয়ে সুপ্ৰিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন সিসোদিয়া। সুপ্ৰিম কোর্ট তাঁকে নিম্ন আদালতে আর্জি করার পরামর্শ দেয়। তারপরেই দিল্লির রাউস এভিনিউ আদালতে জামিনের আর্জি জানান সিসোদিয়া। ১০ মার্চ এই মামলার শুনানি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।