শিলংঃ আগামী বছর বিধানসভা নির্বাচনের আগে দুদিনের শিলং (Shillong) সফরে গিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের (West Bengal) মুখ্যমন্ত্ৰী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার সকালে Shillong এ ২২ নভেম্বর মুখরোতে বনরক্ষীদের গুলিতে নিহতদের পরিবারের লোকজনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন তিনি। তাঁর সফরসঙ্গী ছিলেন তৃণমূলের (Trinamool) সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, মেঘালয় তৃণমূল পর্যবেক্ষক মানস ভুঁইয়া, মেঘালয় বিধানসভার বিরোধী দলনেতা মুকুল সাংমা (Mukul Sangma) ও তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি চার্লস পাইনগ্ৰোপ।
নিহতদের পরিবারের লোকজনের হাতে ৫ লক্ষ টাকার চেক তুলে দেন তৃণমূল (Trinamool) নেত্ৰী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন মেঘালয় (Meghalaya) যাওয়ার পথে মেঘালয় সংস্কৃতির পরিচিত ঢোল বাজান তিনি। স্থানীয় মানুষের সঙ্গে মত বিনিময় করেন।
মেঘালয়ে (Meghalaya) তৃণমূল ক্ষমতায় এলে তাঁদের জন্য তৃণমূল নেতৃত্ব কিছু ভাববে সেই আশ্বাস দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্ৰী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
প্ৰসঙ্গত উল্লেখ্য যে, গত ২২ নভেম্বর অসম মেঘালয় সীমান্তে (Assam-Meghalaya border) জয়ন্তিয়া এলাকায় মুখরোতে কাঠের চোরাচালান ঠেকাতে গিয়ে বাধা পেয়ে পুলিশের গুলিতে ৬ জন মারা যান। মৃতদের মধ্যে বন বিভাগের একজন নিরাপত্তারক্ষীও ছিলেন। নির্দিষ্ট গোপন সূত্ৰে খবর পেয়ে ২১ নভেম্বর ভোর ৩টে নাগাদ মেঘালয় সীমান্তে একটি কাঠবোঝাই ট্ৰাক আটকায় অসমের বন বিভাগ। ট্ৰাক নিয়ে চালক পালানোর চেষ্টা করলে বন কর্মীরা গুলি চালান। ট্ৰাকের টায়ার লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। ঘটনায় ট্ৰাকের চালক, খালাসি এবং আরও একজন আটক হন। বাকিরা পালিয়ে যায়। স্থানীয় জিরিকেনডিং থানায় খবর দেন বনকর্মীরা। এরপর ভোর ৫টা নাগাদ মেঘালয়ের (Meghalaya) কিছু বাসিন্দা হাতে দা নিয়ে এসে চড়াও হন। আটকদের ছেড়ে দেওয়ার দাবিতে বনকর্মীদের ঘেরাও করেন তাঁরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্ৰণে আনতে পাল্টা গুলি চালান বনরক্ষীরা। ওই ঘটনায় একজন বনকর্মী সমেত ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। ওই ঘটনার পর কিছু দিনের জন্য অসম এবং মেঘালয়ে (Meghalaya) যাতায়াত পরিষেবা কিছু দিনের জন্য বন্ধ ছিল। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্ৰণে আনতে বেশ কিছু স্থানে ইন্টারনেট পরিষেবা (Internet Service) বন্ধ করে দিয়েছিল পুলিশ প্ৰশাসন। পরে ধীরে ধীরে পরিস্থিতি স্বাভাবিকের দিকে গড়ালে ফের খুলে দেওয়া হয় যাতায়াত ব্যবস্থা। চালু করা হয় ইন্টারনেট পরিষেবাও।