নয়াদিল্লিঃ ভারতের ম্যাপ থেকে নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে যোশীমঠ। যে দিকে পরিস্থিতি এগোচ্ছে, তাতে আর বাঁচানো সম্ভব নয় এই জনপদকে। এমনটাই আশঙ্কা অধিকাংশ গবেষকের। গত ১২ দিনে হিমালয়ের পাদদেশে উত্তরাখণ্ডের যোশীমঠ ৫.৪ সেন্টিমিটার নীচে নেমে গেছে। ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা (Indian Space Research Organisation) সংক্ষেপে ইসরোর এক প্ৰতিবেদনে এই চাঞ্চল্যকর তথ্য প্ৰকাশ পেয়েছে।
ইসরোর ন্যাশনাল রিমোট সেন্সিং সেন্টারে প্ৰকাশ করা উপগ্ৰহের ছবিতে দেখা গেছে গত ২৭ ডিসেম্বর থেকে ৮ জানুয়ারির মধ্যে পাহাড়ি এই শহরটি ৫.৪ সেন্টিমিটার নীচে বসে গিয়েছে। এর আগে ইসরোর (ISRO) National Remote Sensing Centre (NRSC)এর গবেষণায় দেখা গেছে, গতবছর এপ্ৰিল থেকে নভেম্বর পর্যন্ত এর পরিমাণ ছিল ৯ সেন্টিমিটার। কিন্তু গত ১২ দিনে উদ্বেগজনকভাবে বেড়েছে এই ঘটনা।
বদ্ৰীনাথ(Badrinath), হেমকুন্ড সাহিবের (Hemkund Sahib) মতো বিখ্যাত তীর্থস্থানের প্ৰবেশদ্বার হচ্ছে যোশীমঠ। মাত্ৰ কয়েক দিনের ব্যবধানে যোশীমঠের (Joshimath) বিস্তৃর্ণ অঞ্চল ৫ সেন্টিমিটার অবনমন হয়েছে। বিষয়টি উদ্বেগজনক বলেই মনে করা হচ্ছে।
পাহাড়ি শহরটির চারদিকে ফাটল ধরেছে। এখনও পর্যন্ত প্ৰায় ৪ হাজার লোককে সেখান থেকে সরিয়ে শিবিরে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। উত্তরাখণ্ড (Uttarakhand Government) সরকারে জানিয়েছে- হোটেল এবং ব্যবসা প্ৰতিষ্ঠান ছাড়াও ৬৭৮ টি ঘর বিপদের মধ্যে রয়েছে। এই পরিস্থিতির জন্য স্থানীয় বাসিন্দা এবং বিশেষজ্ঞদের শহরটিতে অপরিকল্পিতভাবে নির্মাণ এবং বিশৃঙ্খল পরিকাঠামোকেই দায়ি করা হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে শলা পরামর্শ করে উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্ৰী পুষ্কর সিং ধামী ক্ষতিগ্ৰস্ত পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ঘোষণা করেছেন। উত্তরাখণ্ডের আরও একটি শহর তেহরী গড়ওয়ালেও একই পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। ভূমিস্খলণের আশঙ্কায় স্থানীয় লোকজন বিষয়টি গুরুত্ব দিতে দেখার জন্য সরকারের কাছে আর্জি জানিয়েছেন।