নয়াদিল্লিঃ বাড়ির নাবালিকা পরিচারিকার ওপর বেশ কয়েক মাস ধরে অত্যাচারের (Minor girl tortured) অভিযোগ উঠল হরিয়ানার গুরুগ্ৰামের(Gurugram in Haryana) এক দম্পতির বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার অভিযোগ পেয়ে দম্পতির বাড়ি থেকে কিশোরীকে (Minor girl) উদ্ধার করেছে পুলিশ। তাঁদের বিরুদ্ধে শিশু সুরক্ষা আইন (Care and protection of Children) এবং পকসো আইনের (Pocso Act) অধীনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে- দম্পতি তাঁদের সাড়ে ৩ মাসের কন্যা সন্তানকে দেখাশোনা করার জন্য এজেন্সি থেকে ওই কিশোরীকে কাজে রেখেছিলেন। স্বামী স্ত্ৰী দুজনেই বেসরকারি সংস্থায় কর্মরত। কিশোরীর বিরুদ্ধে ঠিকমতো কাজ না করা, খাবার চুরি করে খাওয়ার অভিযোগ এনেছেন দম্পতি।
জানা গেছে কিশোরীকে ওই দম্পতি একটি ঘরের মধ্যে আটকে রেখেছিলেন। ঠিকমতো খাবার খেতে দিতেন না। ডাস্টবিনে ফেলে দেওয়া উচ্ছিষ্ট খেতে বাধ্য করানো হত।
কিশোরীর মুখে, হাতে,পায়ে এবং শরীরে একাধিক জায়গায় আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। তাঁর শারীরিক পরীক্ষা করানো হয়েছে। দেখা হচ্ছে তাকে যৌন হেনস্থা করা হয়েছে কিনা।
প্লেসমেন্ট এজেন্সি থেকে রাচীর ওই কিশোরীকে (Minor girl) দম্পতি বাড়ির পরিচারিকার কাজ এবং তাঁদের একমাত্ৰ কন্যাসন্তানের দেখাশোনার জন্য কাজে রেখেছিলেন।
এ সম্পর্কে সখী কেন্দ্রের ইনচার্জ পিংকি মালিক (Pinky Malik, the Sakhi centre in -charge) তার অভিযোগে বলেছেন- কিশোরীর মুখ সম্পূর্ণ ফুলে গেছে এবং তার শরীরের সর্বত্র আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। সারা রাত কিশোরীকে ঘুমোতে না দেওয়ার পাশাপাশি তারা তাকে কোনো খাবারও দেয়নি। বর্তমানে ওই কিশোরী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। শারীরিক অবস্থা গুরুতর বলে জানিয়েছেন তিনি।
ভারতীয় দণ্ডবিধির ধারা ৩২৩ (আঘাত করা) এবং ৩৪২ (বেআইনিভাবে আটকে রাখা) এবং জুভেনাইল জাস্টিস (শিশুদের যত্ন ও সুরক্ষা) আইনের প্রাসঙ্গিক ধারা এবং নিউ কলোনি থানায় পকসো আইনের অধীনে দম্পতির বিরুদ্ধে একটি এফআইআর নথিভুক্ত করা হয়েছে।
নিউকলোনি থানার পুলিশ ঘটনার তদন্তে নেমেছে। খুব শীঘ্ৰই ওই দম্পতিকে গ্ৰেফতার করা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।