রাঁচিঃ অস্বস্তিতে ঝাড়খণ্ডের (Jharkhand) মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন (Hemanta Soren)। খনি লিজ দেওয়া মামলায় ইতিমধ্যেই তাঁর বিধায়ক পদ খারিজের সুপারিশ করেছে নির্বাচন কমিশন। এখন রাজনৈতিক মহলে ফের একবার প্ৰশ্ন উঠেছে ঝাড়খন্ডে কি বিজেপি, Hemanta Soren সরকার ভাঙাতে চাইছে?
যদিও বৃহস্পতিবার একটি বিবৃতিতে হেমন্ত সোরেন রীতিমতো ক্ষোভ উগরে দিয়ে জানিয়েছেন- “আপাতদৃষ্টিতে মনে হচ্ছে যে বিজেপি নেতারা, যার মধ্যে একজন বিজেপি সাংসদ এবং তাঁর পুতুল সাংবাদিকরা রয়েছেন, তাঁরা নিজেরাই ভারতের নির্বাচন কমিশোনের রিপোর্টের খসড়া তৈরি করেছেন,”।
সোরেনের বিরুদ্ধে আক্রমণ বজায় রেখেছে BJP। সাংসদ নিশিকান্ত দুবে বলেছেন, ”Hemanta Sorenএর উচিত নৈতিক দিক বিবেচনা করে নির্বাচনের দিকে যাওয়া। এখনই বিধানসভা ভেঙে ৮১টি কেন্দ্রেই নির্বাচন হোক।”
সোরেনের দল জেএমএমে’র জোটসঙ্গী কংগ্রেস জানিয়েছে, এবিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে রাজ্যপালকে। তবে নতুন করে নির্বাচন হলে যে সোরেনকেই তাঁরা মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে চাইবেন তা পরিষ্কার করে দিয়েছে কংগ্রেস।
গত চারদিনে অনেক কর্মকাণ্ড প্রত্যক্ষ করেছে ঝাড়খণ্ড। গত সোমবার নির্বাচন কমিশন তাদের শুনানি শেষ করে। মঙ্গলবার রাজ্যপাল রমেশ ব্যাসের কাছে তাঁর মতামত চাওয়া হয়। সূত্রানুসারে, পরের দিন রাজ্যপাল পরদিন ওই রিপোর্টটি পান। নিশিকান্ত দুবে টুইট করে জানিয়ে দেন, রাজ ভবনে পৌঁছে গিয়েছে কমিশনের রিপোর্ট।
এদিকে এর আগে সোরেনের দল জেএমএম অভিযোগ করেছিল তাঁদের ১২ জন বিধায়ককে ভাঙাতে চাইছে BJP। JMM এবং Congress BJP-র বিরুদ্ধে টাকা ব্যবহার করে সরকার ফেলার চেষ্টা করার অভিযোগ তুলেছিল। ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার ৩ বিধায়ক পশ্চিমবঙ্গে প্রায় ৫০ লক্ষ নগদ সহ ধরা পড়েছিলেন। যদিও বিজেপি সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।