গুয়াহাটিঃ দীপাবলি শেষ, এখন ছট পূজার (Chhath Puja) প্রস্তুতি শুরু। এই বছর Chhath Pujaর শুভ উত্সব শুরু হবে ২৮ অক্টোবর। শেষ হবে ৩১ অক্টোবর। ছট পুজো ভগবান সূর্য (Lord Surya) ও দেবী ছঠি (Goddess Chhathi)কে উৎসর্গ করা হয়। কার্তিক মাসের শুক্লপক্ষের ষষ্ঠী তিথিতে পালিত হয় Chhath Puja। এই পুজো চার দিন ধরে পালিত হয়।
এই সময় নারীরা ৩৬ ঘন্টা নির্জলা উপবাস করে থাকেন। সন্তানদের সুস্বাস্থ্য, সাফল্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করে নারীরা নির্জলা উপবাস করে ভগবানের কাছে প্রার্থনা করে থাকেন। ছট পুজো শুরু হয় নাহয় খায়ের (Nahay Khay) সাথে যেখানে ভক্তরা পবিত্র জলে স্নান করেন, নতুন পোশাক পরে এবং সুস্বাদু নিরামিষ খাবার খান।
ছট পুজো সূর্য ও তাঁর পত্নী ঊষা যিনি ছোটী মাঈ নামে পরিচিত, তাঁর প্রতি সমর্পিত হয়। ছট পুজোতে সূর্য ও ছোটী মাঈ-কে পৃথিবীতে জীবনের স্রোত বহাল রাখার জন্য ধন্যবাদ জ্ঞাপন ও আশীর্বাদ প্রদানের জন্য কামনা করা হয়। ছটে কোনও মূর্তি পূজা করা হয় না সূর্য এই পুজোর প্রধাণ আরাধ্য দেবতা।
ছট বা ছঠ, ষষ্ঠী নামের অপভ্রংশ। মূলত সূর্য ষষ্ঠী ব্রত হওয়ার দরুন একে ছট বলা হয়। কার্তিক মাসের অমাবস্যা তিথিতে দীপাবলি পালনের পর এই চার দিনের ব্রত শুরু হয় কার্তিক শুক্লা চতুর্থী থেকে আর চলে সপ্তমী অবধি। এই পুজোর সবচেয়ে কঠিন ও তাৎপর্যপূর্ণ রাত্রি হল কার্তিক শুক্লা ষষ্ঠী। বিক্রম সংবৎ-এর কার্তিক মাসের শুক্লা ষষ্ঠী তিথিতে এই ব্রত উদযাপিত হওয়ার কারণে এর নাম ছট রাখা হয়েছে।
চারদিনের এই ব্রতের প্রথম দিনে যিনি ব্রত পালন করেন, তিনি বাড়িঘর পরিষ্কার করে স্নান সেরে শুদ্ধাচারে নিরামিষ ভোজন করেন। পরদিন থেকে উপবাস শুরু হয়। দিনভর নির্জলা থেকে উপবাস পালনের পর সন্ধ্যায় পুজোর শেষে ক্ষীরের ভোগ গ্রহণ করতে হয়। এই জন্য এই রীতির নাম খরনা। এই সময়ে পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা উপবাস রাখা নারীরা তাঁদের খাবার খাওয়ার পরেই খেতে পারবেন। তৃতীয় দিনে নিকটবর্তী নদী বা জলাশয়ের ঘাটে গিয়ে অন্যান্য ব্রতীদের সঙ্গে অস্তগামী সূর্যকে অর্ঘ্য অর্থাৎ দুধ অর্পণ করা হয়। ব্রতের শেষ দিনে গঙ্গা ঘাটে গিয়ে উদীয়মান সূর্যকে পবিত্র চিত্তে অর্ঘ্যপ্রদানের পর উপবাসভঙ্গ করে মিষ্টান্ন, ক্ষীর, ঠেকুয়া, নাড়ু এবং আখ, কলা, মিষ্টি লেবু প্রভৃতি ফল খেয়ে উপবাস ভঙ্গ করতে হয় ও পরিচিত সকলকে প্রসাদ বিতরণ করা হয়।