নতুন দিল্লি: ভারতীয় বায়ুসেনা আজ প্রথমবারের মতো দিল্লির বাইরে চণ্ডীগড়ে ৯০ তম বায়ুসেনা দিবস উদযাপন করেছে। দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং-এর পাশাপাশি এয়ার চিফ মার্শাল বিবেক রাম চৌধুরীর (Air Chief Marshal Vivek Ram Chaudhari) সঙ্গে উপস্থিত রয়েছেন অন্য দুই বাহিনীর প্রধান-সহ একাধিক সেনা আধিকারিকরা।
চণ্ডীগড় এয়ারফোর্স স্টেশনে মূল অনুষ্ঠান মঞ্চ বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রথমে বায়ুসেনার অতীত গৌরবের বিষয়টি তুলে ধরেন চিফ এয়ার মার্শাল (IAF chief)।
এ প্রসঙ্গে বলেন, “আমাদের পূর্বসরীদের কঠোর পরিশ্রম, দূরদৃষ্টি ও অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলে আজ এই জায়গায় পৌঁছতে পেরেছি আমরা। আজ আমাদের সেই সমস্ত পূর্বসূরীদের কথা অত্যন্ত সম্মানের সঙ্গে স্মরণ করতে হবে যাঁরা এই মহান বাহিনীকে তৈরি করেছিলেন। এখন আমাদের কর্তব্য হল সঠিকভাবে নিজেদের দায়িত্ব পালন করে ভারতীয় বায়ুসেনাকে গৌরবময় ১০০ বছরে পদার্পণ করানো।”
অনুষ্ঠানে ৮০টির মতো বিমানের সাথে সুখনা লেকের উপরে চমকালো এক ঘন্টাব্যাপী এয়ার ডিসপ্লে করা হয়েছে। একটি নতুন যুদ্ধ ইউনিফর্মও এদিন উন্মোচন করা হয়েছে।
প্রধান অতিথি বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল ভি আর চৌধুরী কুচকাওয়াজ পরিদর্শন করেন এবং বিমান বাহিনীর একটি নতুন অপারেশনাল শাখা গঠনের ঘোষণা করেন।
চলতি বছরের ডিসেম্বরে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে ৩,০০০ অগ্নিবীরকে বায়ুসেনায় নিয়োগ করার কথা উল্লেখ করেছেন বায়ুসেনা প্রধান Air Chief Marshal Vivek Ram Chaudhari। তিনি বলেন, ‘আগামী বছরগুলিতে এই সংখ্যা আরও বাড়বে। আমরা আগামী বছর থেকে মহিলা বায়ু অগ্নিবীরদের বায়ুসেনায় নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তিনি আরও বলেন, “এই ঐতিহাসিক অনুষ্ঠানে, আমি নিজেকে সৌভাগ্যবান বলে মনে করছি যে সরকার ভারতীয় বিমান বাহিনীর অফিসারদের জন্য একটি অস্ত্র সিস্টেম উইং তৈরির অনুমোদন দিয়েছে”।
কেন্দ্রীয় সরকার বায়ুসেনা দিবস উপলক্ষে ভারতীয় বায়ুসেনার জন্য ওয়েপন সিস্টেম ব্রাঞ্চ প্রতিষ্ঠার অনুমোদন দিয়েছে। এই সংক্রান্ত তথ্য পেশ করে বায়ুসেনা প্রধান ভিআর চৌধুরী বলেন, “স্বাধীনতার পর প্রথমবারের মতো আইএএফ-এ একটি নতুন অপারেশনাল শাখা তৈরি করা হচ্ছে। এই শাখা তৈরি হলে ফ্লাইট প্রশিক্ষণের খরচ কমিয়ে সরকারকে ৩৪০০ কোটি টাকারও বেশি সাশ্রয় করতে সাহায্য করবে৷”