নয়াদিল্লিঃ রাজৌরির (Rajwari) পর এবার নারওয়াল (Narwal) জেলা। আধ ঘন্টার ব্যবধানে জম্মুতে (Jammu) জোড়া বিস্ফোরণ। গুরুতর জখম হলেন ৭ জন। শনিবার বেলা ১১ টা নাগাদ প্ৰথম বিস্ফোরণটি ঘটে। সেখানে ৫ জন আহত হন। এরপর আধা ঘন্টা পর দ্বিতীয় বিস্ফোরণটি ঘটে। সেখানে ২ জন আহত হয়েছেন।
বিস্ফোরণের পর গোটা এলাকা ঘিরে রাখা হয়েছে। সূত্র জানায়, প্রথম বিস্ফোরণে একটি মহেন্দ্র বোলেরো (Mahendra Bolero) কার ব্যবহার করা হয়েছিল। এলাকায় পৌঁছেছেন নিরাপত্তা বাহিনী। শুরু হয়েছে তল্লাশি অভিযান।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার কাশ্মীরের (Kashmir) পুঞ্চ জেলায় (Poonch District) এক প্রাক্তন বিধানসভা সদস্যদের বাড়িতে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। প্রসঙ্গত, গত কয়েক মাস ধরেই উপত্যকার বিভিন্ন জায়গায় টার্গেট কিলিং চালিয়েছে পাক মদত পুষ্ট জঙ্গিরা। এক এক করে তাদের নিকেশও করেছে নিরাপত্তাবাহিনী। এদিনের বিস্ফোরণের সঙ্গে অবশ্য কোন জঙ্গি সংগঠনের হাত রয়েছে, তা এখনও জানা যায়নি। ওই এলাকায় জঙ্গিরা লুকিয়ে থাকতে পারে বলেও অনুমান নিরাপত্তা বাহিনীর।
বিস্ফোরণে আহতরা হলেন সুহেল ইকবাল (Suhail Iqbal) (৩৫), সুশীল কুমার(Sushil Kumar) (২৬), বিশ্ব প্রতাপ (Vishav Pratap)(২৫), বিনোদ কুমার(Vinod Kumar) (৫২), অরুণ কুমার(Arun Kumar), অমিত কুমার(Amit Kumar)(৪০) এবং রাজেশ কুমার(Rajesh Kumar) (৩৫)।
সূত্র অনুসারে, IED বিস্ফোরণগুলি উধমপুর বিস্ফোরণের(Udhampur blast) মতোই ছিল এবং মোডাস অপারেন্ডি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী(Modus operandi seems to be of the Terror group) লস্কর-ই-তৈয়বার (Lashkar-e-Taiba) বলে মনে হচ্ছে।
লেফটেন্যান্ট গভর্নর মনোজ সিনহা(Lieutenant Governor Manoj Sinha) অপরাধীদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য জরুরি পদক্ষেপ চেয়েছেন।
লেফটেন্যান্ট গভর্নর (Lieutenant Governor) নিরাপত্তা আধিকারিকদের বলেছেন, “এই ধরনের নৃশংস কাজগুলি জঙ্গিদের হতাশা এবং কাপুরুষতাকে তুলে ধরে। অবিলম্বে এবং দৃঢ় পদক্ষেপ নিন। অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনার জন্য কোনো প্রচেষ্টাই ছাড় দেওয়া উচিত নয়।”
লেফটেন্যান্ট গভর্নর (Lieutenant Governor) এই ঘটনায় আহতদের ৫০,০০০ টাকা ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেছেন।
নতুন বছরের শুরুর দিনই রাজৌরির ডাংরি গ্রামে ৭ জন হিন্দুকে নিশানা করে জঙ্গিরা। বাড়িতে ঢুকে নাম জিজ্ঞাসা করে তাঁদের গুলিতে ঝাঁঝরা করে দেয় সন্ত্রাসবাদীরা। শুধু তাই নয়, গ্রামের মধ্যে IED ফেলে গিয়েছিল তারা। পরবর্তী সকালে সেই IED ফেটে মৃত্যু হয় এক শিশুর। তিন-চার দিনের মধ্যেই ওই জঙ্গিদের খুঁজে বের করে তাদের নিকেশ করে সেনা। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই ফের বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটল জম্মুতে।