
দাঁত ব্যাথার যন্ত্রণায় যিনি ভোগেন তিনিই জানেন এই যন্ত্রণা যে কতটা অসহ্য। খাওয়া দাওয়া তো করাই যায় না এমনকি জল পান করতেও সাংঘাতিক কষ্ট। দাঁত ব্যাথা হলে ব্যাথা হয়ে যায় মাথা, গলা পর্যন্ত একসাথে।
ব্যথা সহ্য করতে না পেরে অনেকেই দাঁত ব্যথা কমানোর জন্যে পেইন কিলার বা অ্যান্টিবায়োটিক খেয়ে থাকেন। তবে সেটি সাময়িক। ফের শুরু হয় যন্ত্রণা।
এই দাঁত ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে ঘরোয়া কিছু প্রতিকারও আছে।সেগুলো প্রত্যেকেরই জেনে রাখা প্রয়োজন।
লবঙ্গ- আমরা মোটামুটি সকলেই জানি যে লবঙ্গ কত উপকারি দাঁত ব্যথা কমাতে। খুবই কার্যকর একটি উপায়।
দাঁতের নীচে লবঙ্গ নিয়ে জিভ দিয়ে চেপে রাখলে ব্যাথা থেকে অনেক মুক্তি পাওয়া যায়। এছাড়াও দাঁত ব্যথা কমানো ক্ষেত্রে লবঙ্গের তেল খুব উপকারী।
কাঁচা রসুন- দাঁত ব্যথা কমাতে কাঁচা রসুনের জুরি নেই। রসুনে অ্যালিসিন যৌগ থাকে যাতে থাকে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টিভাইরাল আর অ্যান্টিফাঙ্গাল গুণ। দাঁতে ব্যথা করলে চিবোতে থাকুন কাঁচা রসুন। খুব আরাম পাওয়া যায়।
হলুদ –হলুদের উপকারিতার কথা বলে শেষ করা যাবে না। হলুদকে প্রাকৃতিক অ্যান্টিবায়োটিক হিসাবে ধরা হয়।যেমন ত্বকের জন্যে তেমনি দাঁত ব্যথা সারাতে উপকারী।হলুদ, নুন আর সরষের তেলের পেস্ট বানিয়ে ফেলুন। আর দেরি না করে পেস্টটি লাগান দাঁতের গোড়ায়। খুব আরাম পাবেন এই প্রক্রিয়ায়।
হিং – দাঁত ব্যথায়্য উপকারী হিং। এটি কিন্তু খাবারে স্বাদ এবং গন্ধের জন্যও ব্যবহৃত হয়। দাঁত ব্যথা হলে এক চিমটিমাত্র হিং লেবুর রসের সাথে মিশিয়ে তুলো দিয়ে দাঁতে লাগিয়ে রাখুন। ব্যথা কমবেই।
পেয়ারা তো উপকারী বটেই সেই সাথে পেয়ারা পাতাও। দাঁত ব্যথা উপশমে পেয়ারা পাতা অত্যন্ত উপকারী। পেয়ারা পাতায় আছে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল গুণ।
দাঁত ব্যথা হলে পেয়ারার কচি পাতা চিবিয়ে খেয়ে ফেললে ব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
কাঁচা পেঁয়াজও উপকারী। পেঁয়াজের মধ্যে আছে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি, অ্যান্টি-অ্যালার্জি, অ্যান্টি-কারসিনোজেনিক এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট গুণ।
পেঁয়াজ ধ্বংস করে মুখের ব্যাকটেরিয়া। দাঁত ব্যথায় মাত্র এক টুকরো কাঁচা পেঁয়াজ মুখে নিয়ে চিবোন একটু কষ্ট হলেও। আরাম পাবেন।
এছাড়াও সবসময়ই খাওয়া দাওয়ার পর দাঁত ব্রাশ করে ফেলা উচিৎ। ছোট বাচ্চাদের তো অবশ্যই। খাওয়া-মিষ্টি লেগে থাকলে ব্যথাসহ অনেক ধরনের সমস্যা হতে পারে। একটু সাবধানতাই আমাদের ভালো রাখতে পারে।