
গ্রামবাংলায় একটি প্রবাদ আছে, শুধু গ্রামে নয়, শহরের মানুষও বলে ‘ঠেলায় পড়লে বনের বাঘও ঘাস খায়’।
কিন্তু যদি শোনেন বিড়াল ঘাস খায়, তাহলে কি খুব অবাক হবেন? যারা বিড়াল পোষেন তারা জানেন, মাঝে মাঝে বিড়াল ঘাস খায়। শুধু বিড়াল না, কুকুরও ঘাস খায়।যারা পোষেন না তাঁরাও জানেন। কারণ রাস্তার পাশে যে ছোট ছোট ঘাসগুলো জন্মায়, সেগুলোও মাঝেমধ্যেই তাদের খেতে দেখা যায়।
এছাড়া ঘরের পোষা পশু-পাখির জন্যে মানুষ আছে তাদের দেখভাল করার জন্যে, ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাওয়ার জন্যে। কিন্তু বনে পশু? তাদেরও তো শরীর খারাপ হয়। তখন তারা কীভাবে নিজেদের সুস্থ করে, সেকথা নিশ্চয়ই মনে আসে?
এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা দেখেছেন যে , ওদের কোন ডাক্তারের প্রয়োজন নেই, নিজেরাই ভেষজ চিকিৎসায় অসুখ-বিসুখ সারিয়ে ফেলতে ওস্তাদ।
আর কুকুর বেড়াল যে ঘাস খায় তা কিন্তু সবসময় নয়, এটাও নিশ্চয়ই আপনারা লক্ষ্য করে থাকবেন। দেখবেন যখনই তারা ঘাস খাচ্ছে, এরপরই বমি হয়ে যাচ্ছে। এবং সেরে যাচ্ছে তাদের অসুখ।
আফ্রিকার একধরনের শিম্পাঞ্জির পেটের অসুখ হলে ভেরোনিয়া নামক উদ্ভিদের বিষাক্ত ফল খেয়ে অনায়াসে সুস্থ হয়ে ওঠে। এই ফল বেশি খেলে বিষক্রিয়ায় আবার মৃত্যুও হতে পারে। কিন্তু ওই প্রজাতির শিম্পাঞ্জি ওষুধের ডোজ খুব ভালো জানে।অর্থাৎ ঠিক পরিমাণ মতোই ওরা খায়।
ইউনিভার্সিটির স্কুল অব ভেটেরিনারি মেডিসিন বিভাগের গবেষকরা বলছেন, বিড়াল সম্প্রদায়ের পূর্ব-পুরুষদেরও ঘাস খেতে দেখা গিয়েছে।
মূলত পরিপাকতন্ত্রের জটিলতা দূর করার জন্যেই তারা ঘাস-পাতা-লতা খেত। এই সম্প্রদায়ের উত্তরপুরুষরাও সেই ধারা অব্যাহত রেখেছে।
গবেষকরা অনলাইনে একটি জরিপ চালান। প্রতিদিন অন্তত তিনঘণ্টা বিড়ালকে সময় দেন এ রকম ১ হাজার ২১ জন এতে অংশ নেন।
এর মধ্যে শতকরা ৭১ ভাগ জানান যে তাঁদের বিড়ালকে ঘাস খেতে দেখেছেন।এবং শরীর সুস্থ থাকা অবস্থায় নয়, অসুস্থ যখন থাকে সে সময়ই খায় কেবল।
কুকুর-বিড়াল কেন ঘাস খায়? জানেন কি? নিজ লবণ থাকে, যা প্রাণীর শরীরের জন্য প্রয়োজন।অর্থাৎ প্রকৃতির সন্তান প্রকৃতি থেকেই খুঁজে নেয় নিজেকে বাঁচানোর ওষুধ।