
প্রতিরক্ষা নির্মাণে আত্মনির্ভর হওয়ার পথে আরেক ধাপ এগলো ভারত। আরো শক্তি বাড়ছে বায়ুসেনার!
দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে নিরাপত্তা বিষয়ক ক্যাবিনেট কমিটি এদিন ৮৩টি তেজস জেট কেনার ছাড়পত্র দিয়েছে।
এতে খরচ পড়বে ৪৮ হাজার কোটি টাকা।
দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং জানিয়েছেন বিমান বাহিনীর জন্য এই তেজস জেট কেনা হচ্ছে।
টুইটারে প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং বলেছেন, ভবিষ্যতে বায়ুসেনার প্রধান ভরসা হতে চলেছে এলসিএ তেজস। এই লাইট কমব্যাট এয়ারক্রাফটে এমন কিছু প্রযুক্তি রয়েছে যা অতীতে ভারতে আসেনি। যা কখনো ভারতে ব্যবহার করা হয়নি।
এবং আত্মনির্ভর ভারতে এই জেটের ৬০ শতাংশ দেশীয় প্রযুক্তি, জানান মন্ত্রী।
এক বিবৃতিতে ভারত সরকার জানিয়েছে, ভারতের বিমানসেনার বিশেষ প্রয়োজন মেটাবে এই তেজস যুদ্ধবিমান। এর ফলে যখন প্রয়োজন হবে, তখনই আরও বেশি সংখ্যক ভারতীয় বিমানবাহিনীতে বিমান পাওয়া যাবে।
জানা গিয়েছে, এই তেজাস যুদ্ধবিমানে অত্যাধুনিক সমস্ত সরঞ্জাম রয়েছে। এমকে-১এ মডেলের তেজাস যুদ্ধবিমানে আছে অ্যাকটিভ ইলেকট্রনিক স্ক্যান অ্যারে র্যাডার, ইলেকট্রনিক ওয়ারফেয়ার স্যুট এবং আরো অত্যাধুনিক বিভিন্ন সরঞ্জাম।
শুধু তাই নয়, অবাক লাগবে, এর জ্বালানি যদি ফুরিয়ে যায় সেক্ষেত্রে আকাশেই জ্বালানি ভরিয়ে নেয়া যাবে।
উল্লেখযোগ্য যে, গত বছর মার্চ মাসে ৮৩টি জেট হ্যালের থেকে কেনার অর্ডার দেয় প্রতিরক্ষা দফতর।
এর মধ্যে ছিল ৭৩টি ফাইটার এবং ১০টি ট্রেনার এয়ারক্রাফট।
তবে এর জন্যে মোট খরচ হওয়ার কথা ছিল ৪৫,৬৯৬ কোটি টাকা। প্রযুক্তিগত উন্নতির জন্যে আলাদাভাবে ১২০২ কোটি টাকা ধার্য করা হয়।
উল্লেখযোগ্য যে, যুদ্ধবিমানগুলি চলে এলে বায়ুসেনার কাছে থাকবে মোট ১২৩টি তেজস।
প্রসঙ্গত উল্লেখ করা জরুরি যে, চিন এবং পাকিস্তানের সঙ্গে উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে ভারত সাম্প্রতিক সময়ে প্রতিরক্ষা খাতে নিজেদের শক্তি আরো বাড়ানোর জন্যে বেশ কয়েকটি পদক্ষেপ নিয়েছে।
এদিকে, ক্যালিবার বন্দুক নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ভারত একটি চুক্তি হতে চলেছে।
এই সংবাদে আনন্দিত ভারতবাসী।