
কৃষি আইন নিয়ে বিগত কয়েকমাস ধরে উত্তপ্ত ভারত। এই উত্তপ্ত পরিস্থিতির মধ্যে বড়সড় ধাক্কা খেল কেন্দ্রের সরকার। শীর্ষ আদালত বিতর্কিত কৃষি আইন কার্যকর করার উপর স্থগিতাদেশ জারি করল।
কৃষকরা কোনভাবেই এই আইন মেনে নেবেন না, এই দাবিতে পথে আন্দোলনে নামেন। কেন্দ্র-কৃষক দু-পক্ষে চলতে থাকে তরজা।
বিগত কয়েকদিন ধরে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে এই সংক্রান্ত মামলার শুনানি চলছিল।
আজ মঙ্গলবার, ১২ জানুয়ারি, শুনানি শেষে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চ কৃষি আইন নিয়ে নির্দেশ দেয়৷ একই সাথে চার বিশেষজ্ঞকে নিয়ে একটি কমিটি গঠন করারও নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত৷
এই কমিটি সবপক্ষের মতামত শুনবে। সেখানে আন্দলরত কৃষকদের যোগ দেওয়ারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এদিকে, পরবর্তী নির্দেশ দেওয়া না পর্যন্ত তিন বিতর্কিত কৃষি আইনের উপর স্থগিতাদেশ বজায় থাকবে৷কৃষকদের জয় হল। কৃষকদের এতদিনের পরিশ্রম সার্থক হল। আদালতের রায়ের পর কৃষক সংগঠনের নেতারা আনন্দিত। উচ্ছ্বসিত তাঁদের দাবি, আন্দোলনের জয় হল এতদিনে ৷
আন্দোলনের জয় একাংশ বলছেন, অন্যদিকে অপর কৃষকদের একাংশ দাবি করছেন, বিতর্কিত এই কৃষি আইনের উপর স্থগিতাদেশ নয়, বাতিল করতে হবে।
বিভিন্ন পক্ষের শুনানি গ্রহণ করার পর আদালত বিতর্কিত কৃষি আইনে স্থগিতাদেশ প্রদান করে।
এদিকে, শীর্ষ আদালত মঙ্গলবারের শুনানিতে যে কমিটি তৈরি করার কথা বলে, সেখানে রাখা হয়েছে ৪ জনকে। আছেন কৃষক নেতা জিতেন্দর সিং মান, আন্তর্জাতিক নীতি নির্ধারক প্রমোদ কুমার যোশী, কৃষি অর্থনীতিবিদ অশোক গুলাটি এবং মহারাষ্ট্রের শিবখেরি সংগঠনের নেতা অনিল ধনওয়াত৷
উল্লেখ্য যে, সোমবার উচ্চতম আদালতের ডিভিশন বেঞ্চ গুরুত্বপূর্ণ পর্যবেক্ষণ করে। এই আইনকে আপাতভাবে স্থগিত করা যায় কিনা সেই বিষয়ে জানতে চায়।এবং এ বিষয়ে কেন্দ্রের পরামর্শ চায় সুপ্রিম কোর্ট।
সোমবার সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি এস এ বোবদে বলেন, কেন্দ্র আর কৃষক নেতাদের মধ্যে ঠিক কোন ধরনেরর সমঝোতা হচ্ছে, সে বিষয়ে ঠিক বোধগম্য নয়। তবে আর যাই হোক সমাধানের পথ শীঘ্রই বের করা প্রয়োজন। এভাবে আর চলতে দেয়া যায় না। সাময়িকভাবে কী কৃষি আইন স্থগিত করা যেতে পারে? সেক্ষেত্রে হয়তো নিরপেক্ষভাবে বসে আলোচনা করা সম্ভব।
উল্লেখযোগ্য যে, কৃষি আইন এবং সে সংক্রান্ত আন্দোলন নিয়ে অনেক পিটিশন শীর্ষ আদালতে জমা হয়। পিটিশন ফাইল করেন ডিএমকে সাংসদ তিরুচি শিবা, আরজেডি সাংসদ মনোজ কে ঝার মতো নেতারা।