
গত একবছর ধরে করোনা মহামারির বিরুদ্ধে লড়াই করছে ভারত। টিকাকরণও শুরু হয়ে গিয়েছে কিন্তু লড়াই এখনো থামেনি।
মহারাষ্ট্রে লাফিয়ে লাফিয়ে ফের বাড়ছে করোনা সংক্রমণ।
নতুন করে আবারো শঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে।
মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে রাজ্যবাসীকে সতর্ক করেছেন। এবং একাধিক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।
মহামারি করোনার ফের থাবায় রাজ্যে কয়েকদিনের জন্যে নিষিদ্ধ করা হয়েছে রাজনৈতিক সভা, ধর্মীয় সভা, সামাজিক সমাবেশ।
মুখ্যমন্ত্রী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্যে এমনই কিছু সামাজিক বিধি নিষেধের কথা উল্লেখ করেছেন।
এবং মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক। ঠাকরে জানান, যদি আগামি ৮ দিনের ভিতর পরিস্থিতি সুস্থ না হয়, তাহলে লকডাউনের সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
মুখ্যমন্ত্রী জানান, মহারাষ্ট্র সরকার কর্তৃক সমস্ত সভা অনলাইনে হবে। পরবর্তী ৮ দিন করোনার বিস্তার রোধের ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এই ৮ থেকে ১৫ দিনের মধ্যেই বোঝা যাবে এটা করোনার দ্বিতীয় ধাক্কা কিনা।
ঠাকরে বলেন, আমরা একটি নতুন ক্যাম্পেন শুরু করছি, ‘I am Responsible’.”
সংক্রমণের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় সাধারণ মানুষকে সাবধান হওয়ার জন্যে আবেদন করেন তিনি।
নতুন করে আবার কোভিড-১৯ সংক্রমণ ছড়ানোর ফলে প্রশাসন, রাজ্যবাসীর কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে।
পুনে শহরের প্রশাসন আবার নাইট কার্ফু জারি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
বন্ধ করা হচ্ছে স্কুল কলেজ এবং অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো। বিধিনিষেধের মধ্য দিয়েই যেতে হব, এছাড়া উপায় নেই। রাত ১১টা পর্যন্ত খোলা থাকবে হোটেল রেস্তোরাগুলি। কোনও বিয়েবাড়ির জমায়েতে ২০০ জনের বেশি লোককে আমন্ত্রণ করা যাবে না।
মুখ্যমন্ত্রী সংক্রমণ বিষয়ে জানান, অমরাবতী থেকে প্রায় এক হাজার সংক্রমণের ঘটনা সামনে এসেছে। করোনা নিয়ন্ত্রণ করতে আমরা তৈরি। তবে অবশ্যই রাজ্যবাসীকে সজাগ থাকতেই হবে। মাস্ক অত্যাবশ্যক। মাস্ক ছাড়া চলবেই না। জানান, সাধারণ মানুষ যদি মাস্ক না পড়ে, তবে লকডাউন করতে হবে।
উদ্ধব ঠাকরে এও বলেন যে সাধারণ মানুষের এই বিধিনিষেধগুলোতে কষ্ট হয়। এবং তাঁরা একেবারেই পছন্দ করেন না। কিন্তু এখন আমাদের কঠোর হতে হবে।
প্রসঙ্গত, জনগণের মাস্ক পরতে সমস্যা হওয়ার কথা নয়। কারণ মাস্ক একইসাথে ধুলোবালি থেকেও রক্ষা করে। তবে এই মাস্কের প্রতি যথেষ্ট অনীহা প্রথম থেকেই দেখা গিয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী আগেও বলেছেন, টিকা এলেও সাবধানতা অবলম্বন করতেই হবে।