একটা মহামারি সারা পৃথিবীর মানুষকে একজোট করে ফেলেছে। ছোট্ট একটা সংহতির গ্রাম হয়ে গেছে সারা বিশ্ব। যেখানে প্রত্যেক মানুষকে ভাবতে হচ্ছে নিজেকে কোন উপায়ে সুস্থ রাখা যায়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অন্তত ৪/৫ বছর আমাদের করোনার সঙ্গে বাস করতে হবে। এবং এ অবস্থায় শরীরের রোহ প্রতিরোধ বা ইমিউনিটি ক্ষমতা ধরে রাখার জন্যে যথাসাধ্য চেষ্টা সকলকে চালাতে হবে। তবে প্রোটিনও পাওয়া যাবে অথচ সহজলভ্য এমন কিছু খাবারের কথা চিন্তা করতে হবে। কারণ এই কঠিন সময় আর্থিক সংকটে ভুগছেন দেশবাসী। তবে কী তাঁদের জীবনের মূল্য নেই! দেশকে বাঁচিয়ে রাখে শ্রমিকরাই।
এ সময় প্রোটিনযুক্ত খাবারের খুব প্রয়োজন।
সহজলভ্য এমনই কিছু খাবারের নাম উল্লেখ করা হলো নর্থ ইস্ট নাও’ পাঠকের জন্যেঃ
ডিমঃ ডিম সালফারযুক্ত উচ্চ জৈবমূল্যের প্রোটিন অর্থাৎ এতে পর্যাপ্ত অ্যামিনো অ্যাসিড আছে। এ ছাড়া আছে লৌহ, ক্যালসিয়াম, ভিটামিন এ এবং ভিটামিন ডি। ডিম রোগপ্রতিরোধে ভালো। ডিমকে আরও প্রোটিনযুক্ত করতে চাইলে ডিমে দুধ মিশিয়ে ওমলেট, পুডিং তৈরি করা যায়। এ ছাড়া ডালের সঙ্গে ডিম রান্না করলেও এর প্রোটিন বেড়ে যাবে। প্রতিদিন একটি ডিম খাওয়া স্বাস্থ্যসম্মত।
বাদামঃ বাদাম প্রোটিনের ভালো উৎস। তবে চিনা বাদাম বেশি কার্যকর। এটি অত্যন্ত সহজলভ্য। এতে রয়েছে থায়ামিন, নায়ামিন, প্যানটোথেকি অ্যাসিড, রাইবোফ্লাভিন ও ম্যাগনেশিয়াম, চর্বি। বাদাম মুখের ঘা দূর করে। ম্যাগনেশিয়ামের জন্য স্নায়ুতন্ত্রের ওপর ভালো কাজ করে পাশাপাশি অবসাদ কমায়। যা এই সময়ের জন্য খুবই প্রয়োজন।
খিচুড়িঃ চাল-ডাল-তেল দিয়ে খিচুড়ি খাওয়া খুব জরুরি। এতে ক্যালরিবহুল, প্রোটিন রয়েছে। খিচুড়ি রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এছাড়া মুখের রুচিও বাড়ায় খিচুড়ি।
করোনাকালে যে মাছ-মাংস বা আমিষযুক্ত খাবার খেতেই হবে এমন দুশ্চিন্তা করার কোন কারণ নেই। সাধ্যের মধ্যে উপরোক্ত খাবারগুলো খেলেই যথেষ্ট হবে শরীরের জন্যে।