ভারতে কোভিড-১৯ আক্রান্ৎ এক ব্যক্তি সুস্থ হয়ে উঠেছেন প্লাজমা থেরাপির মাধ্যমে। করোনা প্রতিষেধকের অপেক্ষায় দে চিন্তিত থাকার সময়ই নয়া দিল্লির এক রোগি জাগিয়ে তুলেছেন আশার আলো।
গত ৪ এপ্রিল তারিখে উক্ত ব্যক্তির শরীরে করোনা ভাইরাস ধরা পড়েছিল। কিন্তু প্লাজমা চিকিৎসার মাধ্যমে ভ্যাকসিনহীন যুদ্ধে জয়লাভ করেছেন তিনি।
জানা যাচ্ছে, করোনার লক্ষণ দেখা দিতেই তাঁকে ভর্তি করা হয়েছিল দিল্লির মেক্স হাসপাতালে। ক’দিনের মধ্যেই তাঁর স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটায় তাঁকে অক্সিজেন দেয়া হয়।
এরপরই তিনি নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার গত ৮ এপ্রিল তাঁকে ভেন্টিলশনে রাখা হয়। রোগির পরিবারের লোকেরা চিকিৎসককে প্লাজমা থেরাপি করার অনুরোধ করেন। প্লাজমা থেরাপি প্রয়োগ করা তিনিই ভারতের প্রথম রোগি।
পরবর্তীতে সংক্রমণ থেকে সুস্থ হয়ে উঠা এক ব্যক্তির রক্তের প্লাজমা দিয়ে চিকিৎসা আরম্ভ করা হয়। ধীরে ধীরে চিকিৎসকরা এর ইতিবাচক ফলাফল পেতে আরম্ভ করেন।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, একজন রক্তদাতা ৪০০ মিলি লিটার পর্যন্ত প্লাজমা দান করতে পারেন। এর দ্বারা মোট ২জন লোকের জীবন বাঁচানো যায়।
করোনা ভাইরাস থেকে সুস্থ, মুক্ত হয়ে ওঠা ব্যক্তিকে রবিবার হাসপাতাল থেকে ছাড়া হয়েছে।
এই প্লাজমা থেরাপি কী আসলে?
যে ব্যক্তিরা কোভিড-১৯ থেকে সুস্থ হয়ে উঠবেন অর্থাৎ ফলাফল নেগেটিভ আসবে, তাঁরা হয়ে উঠবেন অসুস্থ রোগীর জন্য প্লাজমা দাতা। তাঁকে মেডিক্যাল, রক্ত পরীক্ষা করবেন ডাক্তাররা।
দাতা আসবেন হাসপাতালে যেখানে রক্ত দান করবেন সেই বিভাগে, সেখানে তাঁর উপর যে পদ্ধতি প্রয়োগ করা হবে তাঁকে বলে APHERESIS PROCEDURE।
রক্ত দানের পর এফেরসিস মেশিনে রক্ত সেন্ট্রি ফিউজ করা হল। প্লাজমা আলাদা করা হয় এবং বাকি লোহিত কণিকা, শ্বেত কণিকা আর অনুচক্রিকা ফিরিয়ে দেওয়া হয় দাতাকে।
পদ্ধতিটি সম্পূর্ণ নিরাপদ। এবং এটি করা হয় ওয়ান টাইম ইউজ সার্কিট দিয়ে। মেশিন আর কিট সব আমদানিকৃত আর এতে আছে নিরাপদ ব্যবস্থা। যেন প্লাজমা দাতা নিরাপদে থাকেন।
সংগৃহীত প্লাজমা রোগির শরীরে প্রবেশ করানো হয়।