রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলটের মন্তব্য ঘিরে দেশজুড়ে তীব্র বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে চরম বিতর্কের মুখে পড়েছেন রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী তথা কংগ্রেস নেতা অশোক গেহলট। নির্ভয়া কাণ্ডের প্রসঙ্গ তুলে ধর্ষকদের ফাঁসির সাজা দেওয়ার পরই ধর্ষিতাদের খুন করার প্রবণতা বেড়েছে, এমনটাই বলেছিলেন রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী।
উল্লেখযোগ্য যে,গত সপ্তাহে শুক্রবার মূল্যবৃদ্ধি, বেকারত্ব নিয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বিক্ষোভে পথে নেমেছিল কংগ্রেস। সেই কর্মসূচির মাঝে রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশেক গেহলট বলেছেন, “যবে থেকে ধর্ষকদের ফাঁসিতে ঝোলানোর আইন প্রণয়ন হয়েছে, সেদিন থেকে দেশে ধর্ষণের পর খুনের ঘটনা বৃদ্ধি পেয়েছে।”
ধর্ষকরা কেন খারাপ কাজ করার পর খুন করে তার ব্যাখ্যাও নিজেই দিলেন।
গেহলট বলেন, “নির্ভয়া কাণ্ডের পর ধর্ষকদের মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এরপরই ধর্ষিতাদের খুনের ঘটনাও বৃদ্ধি পেয়েছে। ধর্ষণের পর প্রমাণ লোপাট করতে ধর্ষকরা নির্যাতিতাদের খুন করছে। দেশজুড়েই এই ঘটনা সম্পর্কে রিপোর্ট আসছে। এটা অত্যন্ত বিপজ্জনক একটি প্রবণতা।”
গেহলটের ধর্ষণ নিয়ে এই বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য রবিবার দিল্লির মহিলা কমিশন কড়া সমালোচনা করে। মহিলা কমিশনের তরফে পরিষ্কার বলা হয়, “রাজস্থানের মুখ্য়মন্ত্রীর উচিত ধর্ষকদের ভাষা ব্যবহার বন্ধ করা।”দিল্লি মহিলা কমিশনের তরফে অশোক গেহলটকে সতর্ক করে বলা হয়েছে, “নির্ভয়া কাণ্ড নিয়ে তাঁর মন্তব্য অত্যন্ত অসংবেদনশীল, ধর্ষিতাদের মনে আঘাত করতে পারে”।
এর আগে তসলিমা নাসরিন বলেছেন, ভিন্ন প্রসঙ্গে,,, “আমি মৃত্যুদন্ডের বিরুদ্ধে। যে অপরাধই যে লোকই করুক না কেন, কারো মৃত্যুদন্ড হোক চাই না। যেইনা বললাম, অমনি খবর করা হলো ‘তসলিমা বলেছেন ধর্ষকরাও মানুষ, তাদেরও বেঁচে থাকার অধিকার আছে’।আমি প্রায়ই বলি মানুষ জাতের মতো নিকৃষ্ট জাত আর নেই। তাহলে মানুষ তাও আবার ধর্ষক — তাদের প্রতি আমার এত দরদ উথলে উঠলো কেন? সারা জীবন ধর্ষণের বিরুদ্ধে লিখলাম, আর এখন এক হেডলাইনেই আমার লড়াই উড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা । মিডিয়ার কী পাওয়ার! বাপ্রে বাপ।
মৃত্যুদন্ড ছাড়া আর কি শাস্তি নেই দুনিয়ায়? সেই শাস্তি দাও অপরাধীকে।
সবচেয়ে ভালো হয় , মানুষকে যদি শিক্ষিত আর সচেতন ক’রে গড়ে তোলা যায়। অপরাধ যে কারণে হচ্ছে, সেই কারণটাকে যদি নির্মূল করা যায়। এই কাজটি কেউ করতে চায় না। সবাই সোজা পথটি ধরতে চায়। সোজা পথটি হলো, অপরাধীকে মেরে ফেল। চোখের বদলে চোখ নিয়ে নাও। খুনের বদলে খুন। এর নাম কিন্তু বিচার নয়, এর নাম প্রতিশোধ। এটি করে জনগণকে ধোঁকা দেওয়া যায়।
একই রকম ধর্ষককে মৃত্যুদন্ড দিলেও পুরুষেরা ধর্ষণ বন্ধ করবে না। “