
গুজরাটই ঠিকানা। বিশ্বের সর্বোচ্চ ‘স্ট্যাচু অব ইউনিটি’র ঠিকানাও গুজরাটই। এ বার বিশ্বের সবচেয়ে বড় চিড়িয়াখানাও হতে চলেছে গুজরাটেই।
তৈরি করবে রিলায়েন্স ইন্ড্রাস্ট্রিজ লিমিটেড।
ভারতের ধনীতম ব্যক্তি মুকেশ আম্বানির নতুন স্বপ্নের প্রোজেক্ট।
সংবাদ সংস্থা ‘ব্লুমবার্গে’র এক প্রতিবেদন থেকে জানা গিয়েছে, পরিমল নাথওয়ানি নামের রিলায়েন্স কর্তা দাবি করেছেন যে, খুব বেশি নয়, ২০২৩ সালের মধ্যে সর্বসাধারণের জন্যে খুলে দেয়া হবে চিড়িয়াখানা।
তবে এই চিড়িয়াখানা বানাতে ঠিক কত খরচ পড়তে পারে? অথবা কোন কোন প্রধান আকর্ষণ থাকবে?
তবে এ বিষয়ে এখনই মুখ খোলেনি রিলায়েন্স।
প্রতিবেদনের দাবি যে, সংস্থার একজন প্রতিনিধিকে এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হয়েছে যদিও তিনি কোনও মন্তব্য করতে চাননি এখনই। তবে আকর্ষণীয় যে হবে এটি বলাই বাহুল্য।
উল্লেখযোগ্য যে, গত ডিসেম্বর মাসে একজন শীর্ষ কর্তা দাবি করেছিলেন, জামনগরের কাছে ২৮০ একর জমির উপরে চিড়িয়াখানাটি তৈরি হবে।
এবং জানা গিয়েছিল প্রধান আকর্ষণ হবে কোমোডো ড্রাগন।
ভারত তো বটেই, এছাড়াও বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের শতাধিক পশু, পাখি এবং সরীসৃপের প্রজাতির দেখা পাওয়া যাবে এই চিড়িয়াখানায়।
টেক, ই-কমার্স ছাড়াও ক্রিকেট, ফুটবলে বিনিয়োগ করেছে অম্বানীর সংস্থা। এই খবর প্রকাশ্যে আসার পরই জনগণের মধ্যে উৎসাহ দেখা দিয়েছে।
সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, অম্বানীর এই চিড়িয়াখানার নাম হবে ‘গ্রিনস জুলজিকাল রেসকিউ অ্যান্ড রিহেবিলেশন কিংডোম।’
বলা বাহুল্য, এর আগেও কোটিপতিদের পশুপ্রেমের অনেক উদাহরণ আছে। তবে চিড়িয়াখানা বানানোটা ঠিক পশুপ্রেম কিনা, তা নিয়ে সন্দেহ আছে। সন্দেহ বলতে একে পশুপ্রেম বলতে নারাজ অনেক সচেতন মানুষ। হ্যাঁ অবশ্যই পর্যটনের দিকটা শক্ত হয়, কিন্তু পশুগুলোকে ধরে বেঁধে এভাবে রাখা হয়, সেগুলো গ্রহণযোগ্য বলে মনে করেন না বহু মানুষ।
এর আগে ইন্দোনেশিয়ার লো টাক কোং নামে এক ধনী উদ্যোগপতি প্রায় ৪০ লক্ষ ডলার খরচ করে একটি চিড়িয়াখানা তৈরি করেছিলেন।
আবার জর্জিয়ার অন্যতম ধনী ব্যক্তি তথা প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী বিদজিনা ইভানিশভিলি প্রায় ৩০ লক্ষ ডলার বিনিয়োগ করেছিলেন ডেনড্রোলজিকাল পার্কের জন্যে।
বিভিন্ন ক্ষেত্রে কোটিপতিদের বিনিয়োগ সম্পর্কে গবেষক রেবেকা গুচ বলেন, “তাঁদের অর্থনৈতিক ক্ষমতা আছে কল্পনাকে বাস্তবায়িত করার। তাই তাঁরা এসব করতে পারেন।”