
বর্বরতার চরম সীমা অতিক্রান্ত হয়ে গিয়েছে। এরকম পৈশাচিক ঘটনা কোনও মানুষ কি ঘটাতে পারে?
বিকৃতকাম পুরুষরা ছিঁড়েখুঁড়ে খেয়ে ফেলছে নারীকে। সেই সঙ্গে তাদের হাত থেকে ছাড় পাচ্ছে না পশু পর্যন্ত।
পথের কুকুরকে যৌন নির্যাতন চালাত এক লোক। এবার তার ৬ মাসের কারাবাসের শাস্তি হল। কিন্তু এই শাস্তিও আদৌ এদের মস্তিষ্ককে সঠিক পথে ফিরিয়ে আনতে পারবে কিনা, তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে।
নারকীয় এই ঘটনাটি মহারাষ্ট্রের থানে জেলার।
সোমবার থানের আদালত রাস্তার কুকুরকে যৌন উৎপীড়ন চালানোর মতো জঘন্য অপরাধে একজন ৪০ বছরের ব্যক্তিকে কারাবাসের শাস্তি দেয়।
বিকৃতকাম ঐ ব্যক্তিকে ভারতীয় দণ্ডবিধি আইনের ৩৭৭ ধারায় এই শাস্তি প্রদান করার পাশাপাশি ১,০৫০ টাকা জরিমানা করা হয়।
বন্যপ্রাণীর ওপর ক্রুরতা প্রতিরোধ আইনের অধীনে ঐ লোককে এই জরিমানা করা হয়েছে।
উল্লেখ্য যে, অভিযোগ অনুযায়ী, ২০২০ সালের জুলাই মাসে ৪০ বছরের লোকটি পথের কুকুরকে ধরে রেখে তার ওপর যৌন নিপীড়ন চালাচ্ছিল।
প্রসঙ্গত, কলকাতাতেও এক-দুমাস আগে এমনই এক পৈশাচিক ঘটনা সংঘটিত হয়েছে। রাস্তার সারমেয়দের খাবারের লোভ দেখিয়ে কাছে নিয়ে এসে ইঞ্জেকশন সিরিঞ্জ দিয়ে অচৈতন্য করে যৌন নির্যাতন চালাত। রীতিমতো কুকুর ধর্ষণ করা ঐ যুবক, রঞ্জন বারুইর নেশা হয়ে দাঁড়িয়েছিল । বাড়িতে নিয়ে এসে কুকুরগুলোকে ধর্ষণ করত সে। একথা একজন মানুষ কল্পনাও করতে পারে না। সেই ঘটনাই হয়ে চলেছে।
রাস্তাঘাটে এভাবে দেখা যেত প্রায়ই সারমেয় মৃত অবস্থায় পড়ে আছে। প্রথমে বিষয়টা কেউ অতটা আঁচ করতে পারেননি। এরপর ধরা পড়ে। এলাকার প্রায় ২০ টা কুকুর মারা গিয়েছে যুবকের অত্যাচারে। শুধু তাই নয়, আহত কয়েকটা কুকুরকে মেডিক্যাল টেস্ট করে দেখা গিয়েছে তাদের ধর্ষণ করা হয়েছে।
ভাবা যায় ঘটনাগুলি? এই বিকৃতকাম পুরুষরাই আড়ালে আবডালে শেষ করে ফেলছে সব। শিশুদের জীবন নষ্ট করছে। কোন মৃত্যুভয় তাদের নেই।
একের পর এক ধর্ষণকাণ্ড হয়ে চলেছে দেশে। উত্তরপ্রদেশ তো নারী নির্যাতন আর ধর্ষণের আঁখরা হয়ে উঠেছে। যোগী আদিত্যনাথ সরকার কেন নিশ্চুপ? ত্রিপুরাতেও একইভাবে ধর্ষণ, নারীর উপর দমন, নিপীড়ণ বেড়ে চলেছে, কেন চুপ বিপ্লব দেব সরকার?
মূলত নারী যে এগিয়ে যেতে চাইছে, সেই পথে বাধা হয়ে দাঁড়ানো বাধাদানকারীদের, বিকৃতকাম পুরুষদের কেন দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হচ্ছে না?