ভারতে এখন দ্রুততার সাথে ছড়াচ্ছে করোনা ভাইরাস। কেন্দ্রের সরকার এবং রাজ্যসরকারগুলো প্রাণপণে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে করোনার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর জন্যে।
দেশে চলছে তৃতীয় পর্যায়ের লকডাউন। শেষ হবে ১৭ মে তারিখে। ১৮ মে’ থেকে চতুর্থ লকডাউন ফের দেয়া হবে ভারতে। কিন্তু থাকবে বেশকিছু নতুন নিয়ম কানুন।
এছাড়াও করোনা সংক্রমণে দেশের অর্থনীতি বেহাল। সেই অর্থনীতিকে টেনে তোলার ওপরেই জোর দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। মঙ্গলবার রাতে জাতির উদ্দেশ্য তাঁর ভাষণে দেশের অর্থনীতির উন্নতির জন্য ২০ লক্ষ কোটি টাকার আর্থিক প্যাকেজ ঘোষণা করলেন মোদী। উদ্দেশ্য দেশকে আত্মনির্ভর ভারত গড়ে তোলা।
ভারতবাসীর উদ্দেশে এদিন তিনি বলেনঃ
# দেশের এই সংকটে বিশেষ আর্থিক প্যাকেজে ঘোষণা করছি
# প্যাকেজের এই টাকা দেশের জিডিপির ১০ শতাংশ
# প্যাকেজে ল্যান্ড, লেবার, লিকিউডিটি, লসের প্রতি জোর দেওয়া হয়েছে।
# এই প্যাকেজ শ্রমিক, কিষাণের জন্য, মধ্যবিত্তদের জন্য, ভারতের শিল্পপতি, সবার জন্য।
# আর্থিক প্যাকেজের ব্যাপারে বিস্তারিত বলবেন অর্থমন্ত্রী।
এই আর্থিক প্যাকেজ কোথায় কতখানি ব্যবহার হবে, তা প্রধানমন্ত্রী জানাননি। বলেছেন, আগামী কয়েক দিনে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন সব বিস্তারিত ভাবে জানাবেন। তবে একইসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আশ্বাস দিয়েছেন, আর্থিক প্যাকেজে কুটির শিল্প, ছোট-মাঝারি শিল্প থেকে কর্পোরেট জগৎ, শ্রমিক-কৃষক থেকে মধ্যবিত্ত সকলের জন্যই ব্যবস্থা থাকবে। সঙ্গে থাকবে ভূমি ও শ্রম আইনের সাহসী সংস্কার। যা ভারতকে আর্থিক ভাবে স্বনির্ভর হতে সাহায্য করবে।
এদিন মোদির ভাষণে উল্লেখযোগ্য দুটো বিষয় ছিল। লকডাউন এবং আর্থিক প্যাকেজ ঘোষণা।
লকডাউন সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী বলেন, চতুর্থ পর্ব চেহারায় অনেক অন্য রকম হবে। এর আগে সোমবার লকডাউনের ভবিষ্যৎ নিয়ে রাজ্যগুলির মত জানতে চেয়েছিলেন তিনি। কোন রাজ্য কোথায়, কতটা ছাড় চায়, ১৫ মে-র মধ্যে মুখ্যমন্ত্রীদের তা লিখে জানাতেও বলেছিলেন।
এছাড়া ভারতবাসীকে সাহস যুগিয়ে তিনি বলেন, “আমরা মানবজাতি, ভারতবাসি ভাঙবো না। সমস্ত নিয়ম মেনে চলে লড়াই করব এবং এগিয়ে চলব।”