করোনা মোকাবিলায় সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা ছাড়া অন্য কোন উপায় ইতিমধ্যে আর নেই।
এর মধ্যেই বিশ্ব অর্থনীতিকে বাঁচাতে অধিকাংশ দেশেই লকডাউন শিথিল করা হয়েছে। আগামিকাল, ৩১ মে’ ভারতে উঠছে চতুর্থ পর্যায়ের লকডাউন!
মহামারির এ সময় প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে; করোনার হাত থেকে কীভাবে রক্ষা পাওয়া যাবে? বাড়ির বাইরে কিভাবে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করা সম্ভব?
# প্রথমে যা খেয়াল রাখতে হবে তা হলো সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা। ১৯৩০ সাল থেকে শুরু হওয়া গবেষণায় দেখা যায়, যখন কেউ কাশে তখন ড্রপলেটস বাতাসে মিশে যায় বা ১ মিটার দূরত্বে যেয়ে মাটিতে পড়ে। এ থেকেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ১ মিটার দূরত্ব বজায় রাখার কথা বলছেন।
# দ্বিতীয়ত বিষয়টি সময়। আপনি কতক্ষণ ধরে অন্য কারো সাথে আছেন তা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। ব্রিটেন সরকার বলছে করোনা আক্রান্ত ব্যক্তির সাথে ১ মিটার দূরে থেকে ৬ সেকেন্ড সময় কাটানো আর ২ মিটার দূরত্ব থেকে ১ মিনিট সময় কাটানোও সমান ঝুঁকি। যেখানে কোনও সহকর্মীর কাছ থেকে আপনার দূরত্ব রাখা সম্ভব নয়, সেখানে সময়টি ১৫ মিনিটের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখা উচিত।
# কর্মক্ষেত্রে দেখে নিন কীভাবে সাবধানতা অবলম্বন করতে হবেঃ
অফিস এবং কারখানায় সামাজিক দূরত্ব কঠোরভাবে মেনে চলা উচিত। আপনি সহকর্মীদের খুব কাছে গিয়েছেন কিনা তা খতিয়ে দেখতে একটি পরীক্ষার ব্যবস্থা করেছেন যুক্তরাজ্যের একজন চিকিৎসক। আপনি যদি আপনার সহকর্মীর মুখের অ্যালকোহল বা তরকারির গন্ধ পান তাহলে বাতাসে বহনকারী ভাইরাসও খুব সহজে শ্বাস নেওয়ার মাধ্যমে আপনার শরীরে প্রবেশ করবে।
করোনা থেকে নিজেকে রক্ষা করতে যে জিনিসটি জরুরী তা হলো হাত ধোওয়া। আপনি যখন কোনও সহকর্মীর সাথে কথা বলছেন তখন আপনি তাদের স্পর্শ করবেন না এবং দূরত্ব বজায় রাখবেন।সুরক্ষিত থাকার একটি উপায় নেই সুরক্ষিত থাকার জন্য একসাথে কয়টি পদ্ধতি অবলম্বন করা উচিত।
মূলত আপনি যতটা দূরত্ব বজায় রাখবেন ততই নিরাপদ।