নয়াদিল্লি: স্যানিটারি প্যাডের (sanitary pad) দাম বেশি, এই বিষয়টা নিয়ে অনেক প্রতিবাদ হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রায় সময় লোকজন তুলে ধরেন এই বিষয়টা। আর যেহেতু মেয়েদের মাসিকের ব্যাপারে যথেষ্ট হাইজিন মানতে হয়, তাই প্যাড নিতেই হবে।
কিন্তু একমাসে কম করে হলেও দুটো প্যাকেট লাগে। কিন্তু যেখানে আয় নেই, সে জায়গায় প্রতিমাসে প্রায় ১০০ টাকার বেশি খরচ করা খুব কষ্টকর ব্যাপার হয়।
আর স্কুলের ছাত্রীরা স্যানিটারি ন্যাপকিন (sanitary pad) চেয়েছিল শিশু ও নারী কল্যাণ কর্পোরেশনের প্রধান IAS অফিসার হরজোত কউর ভার্মার কাছে। সেই অফিসার বলেছেন, ‘এরপর তো তোমরা বিনা পয়সাতে কন্ডোম চাইবে।’ এই মন্তব্য সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে পড়েছে।
আসলে বেটি বাঁচাও বেটি পড়াও এর যুগে এমনভাবেই মেয়েদের লাঞ্ছিত হতে হচ্ছে। অফিসারের এই মন্তব্যের সমালোচনায় মুখর নেটিজেনরা।
ঘটনাটি বিহারের (bihar) পাটনার (patna)। সেখানে একটি স্কুলের কয়েকজন ছাত্রী আবেদন করে, তাদের যেন সস্তার স্যানিটারি ন্যাপকিন (sanitary pad)দেওয়া হয়। ছাত্রীদের এই আবেদন শোনার পরই কন্ডোমের প্রসঙ্গ তোলেন বিহারের শিশু ও নারী কল্যাণ কর্পোরেশনের প্রধান IAS অফিসার হরজোত কউর ভার্মা।
একজন ছাত্রী প্রশ্ন করছে, ‘সরকার অনেক জিনিস সস্তায় দিচ্ছে। ছাত্রীরাও কি সরকারের কাছে ফ্রিতে স্যানিটারি প্যাড pad পেতে পারে না?’
প্রশ্নটা খুব সচেতন এবং একজন সৎ নাগরিকের প্রশ্ন।
ওই ছাত্রীর এই প্রশ্নের উত্তরে হরজোত কউর ভার্মা বলেন, ‘ দাবির তো কোনও শেষ নেই। এরপর তো তোমরা জিনস, জামা সব বিনা পয়সায় পেতে চাইবে। তারপর যখন ফ্যামেলি প্ল্যানিং করবে তখন হয়তো কন্ডোমও বিনা পয়সাতে দিতে বলবে।’
অফিসার বলেন, ‘এই সব জিনিস সরকারের কাছে বিনা পয়সাতে নেওয়ার কোনও মানে নেই। এইসব দাবি একেবারেই ঠিক নয়।’
কৌর বলেন, ‘ আজ স্যানিটারি প্যাড sanitary pad চাইছেন! কাল জিন্স চাইবেন, পরশু জুতো চাইবেন! তিনি আরও বলেন, এরপর কোনদিন বিনামূল্যে কনডম চাইতে শুরু করবেন। উত্তরে ছাত্রী বলেন, জনগণের ভোটেই সরকার গঠিত হয়।
অফিসার বললেন, ‘ভোট না দিলে পাকিস্তানে যান। তা শুনে ছাত্রী বলেন, আমি একজন ভারতীয়। আমি কেন পাকিস্তানে যাব? মহিলা আধিকারিক বলেন, ‘আপনি কি টাকা ও সেবার জন্য ভোট দেন?’