ভারতে লকডাউনের মেয়াদ শেষ হলেই শুরু হবে বিমান পরিষেবা। তবে এক্ষেত্রে বেশ কিছু নিয়ন্ত্রণ বজায় রেখে আরম্ভ করা হবে পরিষেবা। এমনটাই হচ্ছে এয়ারপোর্ট অথরিটি অব ইন্ডিয়া (এএআই)।
শুরুতে মোট যাত্রী পরিবহণের মাত্র ৩০ শতাংশ দিয়ে শুরু করা হবে বিমান চলাচল। তার পর ধীরে ধীরে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে স্বাভাবিক ছন্দে ফেরানো হবে পরিষেবা। করোনা সংক্রান্ত সংক্রমণের উপর বিশেষ সতর্কতা এবং গুরুত্ব দেয়া হয়েছে।
এএআই প্রাথমিক পরিষেবা চালু করার বিষয়ে একাধিক নির্দেশ জারি করেছে। একে একে সেগুলোঃ
#প্রথম দফায় দেশের প্রথম সারির বড় শহরগুলি এবং রাজ্যের রাজধানীগুলির মধ্যে বিমান চালানো হবে
#বিমানবন্দরে আসা এবং যাওয়ার সময় সমস্ত যাত্রীর শারীরিক পরীক্ষা করা হবে
#তার জন্য প্রয়োজনীয় চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্যকর্মী রাখতে হবে বিমানবন্দরে। প্রত্যেক যাত্রীকে স্বাস্থ্য সংক্রান্ত তথ্য জানাতে হবে
#প্রতিটি বিমানবন্দরে একটি আইসোলেশন জোন তৈরি করতে হবে সন্দেহভাজন কোভিড আক্রান্তদের আলাদা করে রাখার জন্যে
#বিমানবন্দরে যাত্রীদের বসার জায়গা সামাজিক দূরত্ব বিধি মেনে করতে হবে।
#বিমানবন্দরগুলি যে রাজ্যে, সেখানকার প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলে নিশ্চিত করতে হবে শহর থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত গণপরিবহণ ব্যবস্থার। যাতে বিমানযাত্রী থেকে শুরু করে বিমানবন্দরের কর্মীরা কাজে যোগ দিতে পারেন।
#বিমানবন্দরের চেক ইন, নিরাপত্তা পরীক্ষা এবং বোর্ডিংয়ের জন্য একের বেশি দরজা রাখতে হবে এবং সব সময়ে নজর রাখতে হবে যাতে ভিড় বেশি না হয় এবং সামাজিক দূরত্ব বিধি বিঘ্নিত না হয়।
#বিমানবন্দরের শৌচাগারে পর্যাপ্ত কর্মী রাখতে হবে পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখার জন্য
#সম্পূর্ণ বিমানবন্দর চত্বরে সামাজিক বিধি মানার জন্য প্রয়োজনীয় স্টিকার, বিজ্ঞাপন দিয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে।