এক আম্পায়ারকে নিয়ে শনির দশা চলছে বাংলাদেশের উপর। পাকিস্তানের এই আম্পায়ারের নাম আলিম দার।
পাকিস্তানের এই আম্পায়ার বাংলাদেশের কোনও ম্যাচে যুক্ত হলেই বারংবার ভুল সিদ্ধান্ত দিতে থাকেন।
এবার বিশ্বকাপেও একই চেহারা নজরে পড়ল।
২০১৫ সালের বিশ্বকাপে প্রথমবার কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠে ভারতের বিপক্ষে মাঠে নেমছিল বাংলাদেশ।
মেলবোর্নে অনুষ্ঠিত ওই ম্যাচের আম্পায়ার ছিলেন পাকিস্তানের আলিম দার ও ইংল্যান্ডের ইয়ান গোল্ড।
রুবেল হোসেনের একটি ফুলটস বল রোহিত শর্মার কোমরের নীচে থাকলেও, লেগ আম্পায়ার আলিম দারের পরামর্শে ‘নো বল’ ডাকেন ইয়ান গোল্ড! এ নিয়ে তুলকালাম হয়ে উঠে ক্রিকেট বিশ্ব! খোদ ভারতের প্রাক্তন ক্রিকেটাররা এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানান।
২০১৫ বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালের সেই বিতর্কিত কাণ্ডের পর এবারের বিশ্বকাপে আলিম দারের জঘন্য আম্পায়ারিংয়ের শিকার হয়েছে বাংলাদেশ।
লিটন দাসকে আজ থার্ড আম্পায়ারের মাধ্যমে যেভাবে আউট দেওয়া হয়েছে, তা রীতিমতো প্রশ্নবিদ্ধ সিদ্ধান্ত।
বাংলাদেশ-আফগানিস্তান ম্যাচটির টিভি আম্পায়ার হিসেবে আজ দায়িত্ব পালন করছেন আলিম দার।
চার বছর পর আরও এক বিশ্বকাপে আবারও সেমিফাইনালের সামনে দাঁড়িয়ে বাংলাদেশ।
বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে উঠতে হলে আজকের ম্যাচে আফগানিস্তানের বিপক্ষে টাইগারদের জিততেই হবে।
এমন ‘ডু ওর ডাই’ ম্যাচে আবারও আলিম দারের ভুল সিদ্ধান্ত!
আজ তামিম ইকবালের ওপেনিং সঙ্গী হয়েছিলেন লিটন। ১৭ বলে ২ বাউন্ডারিতে ১৬ রান করে ভালো কিছুর আশা জুগিয়ে যাচ্ছিলেন এই তরুণ।
ঠিক তখনই ছন্দপতন।
আফগানিস্তানের মুজিব-উর-রহমানের বলে শর্ট কাভার থেকে ক্যাচ নেন হাশমতউল্লাহ শহিদি। ফিল্ড আম্পায়ার নিশ্চিত ছিলেন না আউট নিয়ে।
তাই ডাকা হয় তৃতীয় আম্পায়ার। টিভি রিপ্লেতে দেখা যায়, বলটি শহিদির হাত ছুয়ে মাটি স্পর্শ করেছে। অনেকক্ষণ ধরে দেখার পরেও টিভি আম্পায়ার নিশ্চিত হতে পারছিলেন না, এটি আউট কিনা।
এক্ষেত্রে ‘বেনিফিট অব ডাউট’ সবসময় ব্যাটসম্যানের পক্ষেই যায়।
কিন্তু শেষ পর্যন্ত তৃতীয় আম্পায়ার লিটনকে আউট ঘোষণা করেন!
বিশ্বকাপ এলেই কেন বাংলাদেশের শত্রু হয়ে যান এই পাকিস্তানি আম্পায়ার তা সত্যিই গবেষণার বিষয়।