অনুর্দ্ধ ১৯ যুব বিশ্বকাপ ফাইনালের শেষে ভারত-বাংলাদেশ— দুই দেশেরই ক্রিকেটাররা গ্রাউণ্ডেই জড়িয়ে পড়েছিলেন হাতাহাতিতে।
এর শাস্তিও পেয়েছেন মোট ৫ জন ক্রিকেটার। বাংলাদেশের ৩ জন এবং ভারতের ২ ক্রিকেটার বড়সড় এই শাস্তি পেয়েছেন।
ম্যাচ শেষের পরের ঘটনাগুলোর সমস্ত ভিডিয়ো ফুটেজ খতিয়ে দেখে রিপোর্ট জমা দিয়েছেন আইসিসি-র ম্যাচ রেফারি গ্রেম লেব্রয়।
সে অনুযায়ী, শাস্তি দেওয়া হয়েছে ভারতের ক্রিকেটার আকাশ সিংহ ও রবি বিষ্ণোই এবং বাংলাদেশের তৌহিদ হৃদয় (১০ ম্যাচ নিষিদ্ধ), শামিম হোসেন (৮ ম্যাচ নিষিদ্ধ) ও রাকিবুল হাসানকে (৪ ম্যাচ নিষিদ্ধ)।
আকাশ নিষিদ্ধ হয়েছেন ৬ ম্যাচ থেকে এবং লেগস্পিনার রবি বিষ্ণুইকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে ৫ ম্যাচ।
আকাশ সিংহ ও রবি বিষ্ণোইয়ের বিরুদ্ধে আইসিসি-র আচরণবিধির ২.২১ ধারা ভাঙায় অভিযুক্ত করা হয়েছে।
উল্লেখযোগ্য যে, রবিবার দক্ষিণ আফ্রিকার পচেফস্ট্রুমে বিশ্বকাপের ফাইনালে বাংলাদেশ ভারতকে হারিয়ে ট্রফি জেতার পর মাঠেই যে ব্যবহারের জড়িয়ে পড়েছেন, তা নিয়ে তুমুল চর্চা সমালোচনা হচ্ছে ক্রিকেট দুনিয়ায়।
এদিন দু-দেশের ক্রিকেটারদেরই মেজাজ ছিল সপ্তমে। স্লেজিং, কথা কাটাকাটি, উত্তপ্ত কথাবার্তা, বল ছুড়ে মারার ঘটনা চলছিলই।
ম্যাচের শেষে তা স্ফুলিঙ্গের মতো মাত্রা ছাড়ায়।
রাকিবুল হাসান উইনিং স্ট্রোক নিতেই মাঠের ভিতরে ঢুকে যান বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা। অবিশ্বাস্যভাবে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন তাঁরা।
এমন অপ্রীতিকর ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মেধাবি আকবর আলি। তিনি বলেন,
“ঘটনাটা সত্যিই অনভিপ্রেত ছিল। আমাদের ছেলেরা আসলে খুবই পাম্পড-আপ (উত্তেজিত) ছিল, তবু যা ঘটেছে তার জন্য আমাদের দলের পক্ষ থেকে আমি ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি”। কিন্তু এই ক্ষমা চাওয়াতেও বিশেষ কিছু লাভের লাভ হয়নি।
ঘটনার প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন ভারতের অধিনায়ক প্রিয়ম গর্গও। “জেতা-হারাটা খেলার অংশ, এটা আমরা মেনেই নিয়েছিলাম। কিন্তু বিপক্ষ দলের কাছ থেকে আমরা কদর্য প্রতিক্রিয়া পেয়েছি।”
বাংলাদেশের তৌহিদ পেয়েছেন ১০টি সাসপেনশন পয়েন্ট, যা ৬টি ডিমেরিট পয়েন্টের সমান। শামিমের ক্ষেত্রে সাসপেনশন পয়েন্ট ৮টি হলেও ডিমেরিট পয়েন্ট কিন্তু ৬টিই থাকছে। স্পিনার রকিবুল চারটি সাসপেনশন পয়েন্ট পেয়েছেন, যেটা ৫ ডিমেরিট পয়েন্টের সমান। এ পয়েন্টগুলো তিনজনেরই ক্যারিয়ারে আগামী দুই বছর থেকে যাবে।
ভারতের আকাশ ৮ সাসপেনশন ও ৬ ডিমেরিট পয়েন্ট পেয়েছেন। বিষ্ণয় প্রথম অপরাধের জন্য ৫ সাসপেনশন ও ৫ ডিমেরিট পয়েন্ট পেয়েছেন। আর ২৩তম ওভারে অভিষেক দাস আউট হওয়ার পর বাজে ভাষা ব্যবহার করায় পেয়েছেন আরও দুটি ডিমেরিট পয়েন্ট। পাঁচ ক্রিকেটারই এ শাস্তি মেনে নিয়েছেন।