নয়াদিল্লিঃ BCCI President-এর পদ হাতছাড়া হয়েছে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের। তাঁর জায়গায় আসছেন রজার বিনি। BCCI সভাপতি থেকে এক ঝাটকায় প্ৰাক্তন হয়ে গেলেন সৌরভ। এতো বড় একটা পদ থেকে ছিটকে যাওয়ার পরে প্রথম বার মুখ খুলেছেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। জানিয়েছেন, বিসিসিআইয়ের মসনদ হারালেও জীবনে আরও ‘বড় কিছু’ করার লক্ষ্য নিয়ে ফেলেছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার এক বেসরকারি ব্যাঙ্কের অনুষ্ঠানে এই ইঙ্গিত দিয়েছেন সৌরভ। তিনি বলেছেন, ‘‘আমি ভারতের হয়ে খেলার পরে বাংলার ক্রিকেট সংস্থার সভাপতি হয়েছি। তার পরে সেখান থেকে BCCI সভাপতি হয়েছি। ভবিষ্যতে আরও বড় কিছু করব। কিন্তু খেলোয়াড় জীবনের ১৫ বছর আমার জীবনের সব থেকে ভাল সময়।’’
ওয়াকিবহাল মহলের ধারনা, তা হলে কি এ বার ICCতে যাওয়ার কথা ভাবছেন সৌরভ? কিন্তু সেখানেও তাঁর যাওয়ার সম্ভাবনা খুব কম। তা হলে ভবিষ্যতে কী করতে চান ‘মহারাজ?’ কীসের ইঙ্গিত দিলেন তিনি? এই সব প্ৰশ্নই এখন ঘুরপাক খাচ্ছে ক্ৰিকেটপ্ৰেমীদের মনে। তবে এই বিষয়টি নিয়ে দুভাগ ভারতীয় ক্ৰিকেট। কেউ সৌরভের পক্ষে, আবার কেউ বিপক্ষে। ক্ৰিকেটের ময়দানে কান পাতলে এও গুঞ্জন শোনা গেছে- সৌরভের ওপরে খুশি নন অনেক কর্তাই। এছাড়া রাজ্য ক্ৰিকেট সংস্থার অনেকেই সৌরভের কাজে অখুশি। এই কারণেই তাঁকে সরতে হচ্ছে। তবে BCCI থেকে তাঁকে বাদ দিতে চাননি কেউই। তবে সৌরভের এই বিদায়ে রাজনীতির গন্ধ পাচ্ছেন কেউ কেউ। বিশেষ করে তৃণমূলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে বিজেপির রাজনীতির শিকার তিনি। কারণ সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় বিজেপিতে যোগ দেননি। অনেকেই এই বিষয়ে টেনে এনেছেন জয় শাহকেও। সৌরভ প্ৰেসিডেন্টের পদ থেকে সরে গেলেও আগেই পদেই রয়েছেন জয় শাহ।
তবে ভবিষ্যতে যাই করুন না কেন, আবার শূন্য থেকে তাঁকে শুরু করতে হবে বলে জানিয়েছেন Sourav। তিনি বলেছেন, “সবাই শেষটাই দেখে। কিন্তু বোঝার চেষ্টা করে না যে আমাদের সবাইকে শূন্য থেকে শুরু করতে হয়। প্রশাসক হিসাবে হয়তো আমার এখানেই ইতি। এখন হয়তো আমাকে নতুন ভূমিকায় দেখা যাবে। সেখানেও শূন্য থেকে শুরু করতে হবে।”
গত তিন বছরে BCCI সভাপতি হিসাবে তিনি কী কী করেছেন, তার একটি খতিয়ান তুলে ধরেছেন সৌরভ। বলেছেন, কোভিডের মতো দুঃসহ সময়ে সফল ভাবে আইপিএল আয়োজন করা হয়েছে তাঁর আমলে। কমনওয়েলথ গেমসে ভারতের মহিলা ক্রিকেট দল রুপো পেয়েছে। ভারতের পুরুষ দল বিদেশের মাটিতে অভাবনীয় সাফল্য পেয়েছে। ভারতীয় ক্রিকেটে একটা অন্য রকম শক্তি দেখা যাচ্ছে। তবে ক্রিকেটার হিসাবে সময়টা আলাদা ছিল। তিনি আরও বলেন- সারা জীবন ধরে কেউ প্রশাসক থাকতে পারে না।
সৌরভের এই মন্তব্যে ক্ৰীড়া মহলে তাঁকে নিয়ে চর্চা তুঙ্গে উঠেছে।