নয়াদিল্লি: জেদ থাকলে মানুষ কী না পারে! দেখিয়েই তো দিলেন সেরেনা উইলিয়ামস (Serena Williams)। ভক্তদের চোখে জল এল সেরেনার (Serena Williams) জন্যে। আবার অনুপ্রেরণা, জেদও। যা শিখিয়ে দিয়ে গেলেন সেরেনা উইলিয়ামস (Serena Williams).
টেনিস জগতে এক বর্ণময় অধ্যায়ের পরিসমাপ্তি হয়ে গেল। পেশাদারী টেনিসকে বিদায় জানিয়েছেন কিংবদন্তী সেরেনা উইলিয়ামস (Serena Williams)। ইউএস (us) ওপেনের মধ্যে দিয়েই শুরু হয়েছিল পথচলা। ইউএস (us) ওপেনেই হলো বিদায়!
জেদের আর এক নামই হচ্ছে সেরেনা (serena Williams)! ‘তুমি সর্বকালের সেরা হবে’, সেরেনাকে বলেছিলেন তাঁর বাবা। সেই সেরেনা (Serena Williams) সর্বকালের সেরাই। এক অধ্যায়ের পরিসমাপ্তি।
উল্লেখযোগ্য যে,আমেরিকার প্রাক্তন ফার্স্ট লেডি মিশেল ওবামা সেরেনাকে আন্তরিক কুর্নিশ জানিয়ে ট্যুইট করেছেন, ‘আমরা সত্যিই সৌভাগ্যবান। কম্পটন থেকে ছোট্ট একটা মেয়ের উত্থান থেকে বিশ্বের সেরা তারকা হয়ে ওঠার সফরের সাক্ষী থেকেছি আমরা। তোমার জন্য আমি গর্বিত। সকলকে অনুপ্রাণিত করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।’
দরিদ্র বলে তাকে অবহেলা করতে নেই। একদিন সেই সন্তানই হয়ে যাবে সেরেনা উইলিয়ামস (Serena Williams)। কে বলতে পারে পরিশ্রম আর ভাগ্য মানুষকে কোথায় পৌঁছে দেয়! আপনিও জানেন না আমিও না। কর্ম আর জেদ মুখ্য। সাথে আছে ভাগ্যেরও খেলা।
লস অ্যাঞ্জেলেসের খুব দরিদ্র পরিবার থেকে সেরেনা উইলিয়ামস (Serena Williams) এবং তাঁর দিদি ভিনাসের উঠে আসা। অনুপ্রেরণার নাম সেরেনা।
কোকো গফ বলেন, “সেরেনার আগে টেনিসে এমন কোনও খেলোয়াড় ছিল না যাঁর সঙ্গে নিজের মিল খুঁজে পেতাম। টেনিস খেলতে খেলতে বেড়ে ওঠার সময় কোনও দিন সমস্যা হয়নি। কারণ জানতাম, বিশ্বের এক নম্বর টেনিস খেলোয়াড়কে অনেকটা আমার মতোই দেখতে। এই বিশ্বে কৃষ্ণাঙ্গ হয়ে জন্মালে, একটু কমেই খুশি থাকতে হয়। সেরেনা শিখিয়েছে, ও কম পেয়ে থেমে যেতে রাজি নয়।”
সেরেনা (Serena Williams) জন্ম নিক ঘরে ঘরে।