গুয়াহাটিঃ বিশ্বকাপের গ্ৰুপ পর্ব থেকেই ছিটকে গেল আয়োজক দেশ কাতার। ২০ নভেম্বর প্ৰথম ম্যাচে ইকুয়েডরের বিরুদ্ধে ০-২ গোলে হেরে যায় কাতার। শুক্ৰবার অর্থাৎ ২৫ নভেম্বর সেনেগালের কাছেও ১-৩ গোলে হারল। শেষ ম্যাচ খেলতে হবে গ্ৰুপে সবচেয়ে শক্তিশালি প্ৰতিপক্ষ নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধে। সেখানে জেতার কোনও আশার আলো নেই। গ্ৰুপে দুই কমজোরি প্ৰতিপক্ষ পেয়েও ভালো খেলতে পারল না কাতার। এশিয়ার বাকি দলগুলি যেখানে অঘটন ঘটিয়ে বিশ্বকে চমকে দিচ্ছে সেখানে কাতারকে বিদায় নিতে হল এক ম্যাচ বাকি থাকতেই।
Qatarএর মাঠে এসে সৌদি আরব (Saudi Arab) আর্জেন্টিনা (Argentina)কে হারিয়েছে। সীমান্ত দিয়ে অসংখ্য সৌদি সমর্থক ঢুকে পড়েছেন কাতারে। গত দশ বছরে কাতারে ফুটবলে অনেক অর্থ ঢালা হয়েছে। পরিকাঠামোর পেছনে খরচ করা হয়েছে, উন্নতিও হয়েছে। কাতারের ফুটবল শক্তির পরিচয় পেয়েছে বাংলাদেশ, ভারত, আফগানিস্তান ওমানের মতো দেশ। কিন্তু বিশ্বকাপ অন্য মঞ্চ। সেখানে এসে পার্থক্যটা বুঝতে পারল কাতার।
ম্যাচের ফলাফল দেখেই বোঝা গেছে Senegalএর দাপট ছিল। ম্যাচটা Senegalএর কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল। কারণ গ্ৰুপের প্ৰথম ম্যাচে Netherlandsএর কাছে ২-০ গোলে হেরে গিয়েছিল সেনেগাল। ফলে টুর্নামেন্টে টিকে থাকার তাগাদা ছিল সেনেগালের । খেলার ৪১ মিনিটে গোল করে এগিয়ে যায় সেনেগাল। দ্বিতীয়ার্ধে ব্যবধান বাড়ায় সেনেগাল। ৪৮ মিনিটে দ্বিতীয় গোলটি করেন Senegalএর ফামারা দিয়েধিয়াও (Famara Diedhiou)। এরপর ৭৮ মিনিটে কাতার ব্যবধান কমায়। Qatar হয়ে মহম্মদ মুন্তারি (Mohammed Muntari) গোল করেন। ৮৪ মিনিটে সেনেগালের হলে তৃতীয় গোলটি করেন বাম্বা দিয়েং (Bamba Dieng)। এরপর আর খেলায় ফিরতে পারেনি কাতার। কারণ Senegal তাদের গোলের মুখ বন্ধ করে দিয়েছিল আগেই।