গুয়াহাটিঃ গত ১৭ -১৮ বছর ধরে পর্তুগাল ফুটবলে মুখ্য আকর্ষণ তারকা ক্ৰিশ্চিয়ানা রোনাল্ডো (Cristiano Ronaldo)। তাঁকে ছাড়া পর্তুগাল টিমকে কল্পনাই করা যায় না। Qatar বিশ্বকাপে এসে রোনাল্ডোকে ছাড়াই দল খেলতে মাঠে নামে। রোনাল্ডোকে বাদ দিয়েই প্ৰতিপক্ষকে ৬ গোলের মালা পরিয়ে দেন গনসালো র্যামোসরা। ম্যাচ জেতার পর নাম না করে পর্তুগিজ কোচকে নিশানা করলেন রোনাল্ডোর বান্ধবী জর্জিনা রদ্ৰিগেজ (Georgina Rodriguez)।
জর্জিনা ইন্সাগ্ৰামে পোস্ট করেছেন- মাঠে না থাকলেও সমর্থকরা শুধু রোনাল্ডোর কথাই বলেছেন। আশা করি, ঈশ্বর ও পর্তুগাল কোচ আরও একবার হাত মিলিয়ে রোনাল্ডোকে আটকানোর চেষ্টা করবেন, যেন মাঠে ফের এরকম ম্যাজিক হয়।
মঙ্গলবার রাতে রোনাল্ডোর পরিবর্তে খেলতে নেমে হ্যাটট্ৰিক করেন উঠতি নতুন ফুটবল খেলোয়াড় গনসালো র্যামোস (Goncalo Ramos)। সব মিলিয়ে পর্তুগাল ৬টি গোল করে।এদিন ম্যাচের ৭২ মিনিটে যখন রোনাল্ডোকে মাঠে নামানো হয় সবচেয়ে বেশি জন গর্জন দেখা যায়। সেই কথাই নিজের ইনস্টাগ্ৰামে উল্লেখ করেন জর্জিনা।
তিনি অবশ্য মাচ জেতার জন্য পর্তুগাল টিমকে অভিনন্দনও জানিয়েছেন। তিনি লিখেছেন- মাঠে যখন পর্তুগাল টিম জাতীয় সংগীত গাইছিলেন তখন সকলের নজর ছিল রোনাল্ডোর দিকে। বিশ্বের সেরা খেলোয়াড়কে মাটে ৯০ মিনিটের জন্য দেখতে না পাওয়াটা লজ্জার বলে উল্লেখ করেছেন তিনি।
Portugalএর তরুণ ব্ৰিগেডের উচ্ছ্বসিত প্ৰশংসা করে ইনস্টাগ্ৰামে পোস্ট করেছেন রোনাল্ডোও। তিনি লিখেছেন- ‘‘পর্তুগালের অসাধারণ একটি দিন কাল। বিশ্বকাপের মঞ্চে ঐতিহাসিক ফলাফলে জিতেছি আমরা। প্ৰতিভা আর তারুণ্যে ভরা এই দলকে অভিনন্দন জানাই।’’
তবে দলের কোচ ফার্নান্দো সান্তোস (Fernando Santos) রোনাল্ডোর প্ৰতি তাঁর কোনও বিরুপ মনোভাব নেই বলেই বারবার উল্লেখ করেন। তিনি বলেন- রোনাল্ডোর সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক খুব ভালো। ওর যখন ১৯ বছর বয়স, তখন থেকে তিনি রোনাল্ডোকে চেনেন। সে সময় রোনাল্ডো স্পোর্টিং লিসবনে খেলতেন।২০১৪ সালে সান্তোস পর্তুগালের দায়িত্ব নেন, সেই সময় থেকেই জাতীয় দলে আরও ভালো খেলতে শুরু করে রোনাল্ডো। তাঁর সাফ কথা কোচ এবং খেলোয়াড়ের মধ্যে যে সম্পর্ক রয়েছে, সেটাকে কখনই ভুলভাবে ব্যাখ্যা করেন না তাঁরা।