এই দিনটির জন্যই দীর্ঘদিনের অপেক্ষা ছিল। চলতি কমনওয়েলথে ফের সাফল্য ভারতের। মেয়েদের ব্যাডমিন্টনে সিঙ্গলসের ফাইনালে সোনার পদক জয় করলেন দেশের ব্যাডমিন্টন তারকা পি ভি সিন্ধু। তিনি ফাইনাল ম্যাচে কানাডার প্রতিপক্ষ মিশেল লি’র মুখোমুখি হয়েছিলেন। ম্যাচের ফলাফল ২১-১৫ এবং ২১-১৭। চোটের কারণে শুরুর দিকে সাময়িক হোঁচট খেলেও দাপুটে কামব্যাক করেছেন ব্যাডমিন্টন তারকা পি ভি সিন্ধু। একের পর এক সঠিক সিদ্ধান্ত এবং সময়মতো ডিফেন্স প্রতিপক্ষকে মাথা তুলতেই নি।
২০২২ কমনওয়েলথ গেমসে এখনও পর্যন্ত যথেষ্ট দাপটের সঙ্গে পারফরম্যান্স করেছেন পিভি সিন্ধু। টুর্নামেন্টের কোয়ার্টার ফাইনালে তিনি মালয়েশিয়ার গোহ জিন উইকে পরাস্ত করেছিলেন। ম্যাচের ফলাফল হয়েছিল ১৯-২১, ২১-১৪ এবং ২১-১৮। সেমিফাইনালে সিঙ্গাপুরের ইয়ো জিয়া মিনকে পরাস্ত করেছিলেন। ম্যাচের ফলাফল হয়েছিল ২১-১৯ এবং ২১-১৭। আর ফাইনাল ম্যাচে সোনার পদক জয় করলেন সোনার মেয়ে। সিন্ধুর অদম্য মানসিকতা এবং হার না মানা জেদ তাঁকে সোনার পদকের দিকে এগিয়ে নিয়ে যায়। অবশেষে ২১-১৫ পয়েন্টে প্রথম গেমে এগিয়ে যান সিন্ধু।
এই মুহূর্তের জন্য যে দীর্ঘদিন ধরে প্রতিক্ষা করছিলেন, জয়ের পর সেই কথাও বলেন ভারতীয় শাটলার। এর আগে ব্যক্তিগত সিঙ্গলসে গ্লাসগোতে ব্রোঞ্জ ও গোল্ড কোস্টে রুপো জিতেছিলেন তিনি। এবার এল সোনা।
প্রসঙ্গত, গ্লাসগোতে সেমিতে তিনি হেরেছিলেন এই মিশেলের কাছেই। তবে সেই শেষ। তারপর এই নিয়ে লাগাতার সাতবার তাঁর কাছে বশ্যতা স্বীকার করলেন কানাডার লি।
এদিন শুরু থেকেই অ্যাটাকিং মুডে ছিলেন পিভি সিন্ধু। পায়ে চোট তাই লম্বা শট খেলার দিকে ঝুঁকতে চাননি তিনি। নেটের সামনে খেলে দ্রুত পয়েন্ট শেষ করাই ছিল সিন্ধুর টার্গেট। সেই কাজে সফল হয়েছেন প্রাক্তন বিশ্বচ্যাম্পিয়ন তথা বিশ্বের সাত নম্বর প্লেয়ার। লি সাধ্যমতো চেষ্টা করেছিলেন কিন্তু একাধিক আনফোর্সড এররের জেরে সহজ পয়েন্ট সিন্ধুকে উপহার দেন তিনি। প্রথম গেমের শুরুতে কিছুটা হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হলেও দ্রুত খেলা ধরে নেন পিভি সিন্ধু। তিনি প্রথম গেম জেতেন ২১-১৫ পয়েন্টে যার মধ্যে একটি সময় তিনি লাগাতার পাঁচ পয়েন্ট জিতেছিলেন।
শেষপর্যন্ত ২১-১৩ পয়েন্টে দ্বিতীয় গেম তথা ম্যাচ জেতেন তিনি। প্রথমবারের জন্য সিঙ্গলসে সোনা জিতলেন তিনি।