নয়াদিল্লি: মহম্মদ শামি! শুধু শামি আর শামি। কী অসাধারণ। এই আগুন জ্বলছে দাউদাউ করে। কে নেভায় এই আগুনকে।
ছ’টি ম্যাচ খেলে তিনটিতেই ম্যান অফ দ্য ম্যাচ বাংলার এই জোরে বোলার। সেমিফাইনালে ৭ উইকেট তুলে নিয়ে ভারতকে ফাইনালে তুলে দিলেন বুধবার। কী টানটান উত্তেজনা ছিল সে সময়।
ভারতের প্রথম বোলার হিসাবে বিশ্বকাপের ম্যাচে ৭ উইকেট নিয়ে খুশি যদিও একটা বিষয় তাঁর মনে পীড়া দিচ্ছে।
তিনি একটা ক্যাচ মিস করে ফেলেছেন। সেই জায়গায় ভিতরটা কেঁপে উঠেছিল ভারতবাসীর।
শামি বলেন, ‘‘ উইলিয়ামসনের ক্যাচটা আমার অবশ্যই ধরা উচিত ছিল। সহজ ক্যাচ ফেলা আমার উচিত হয়নি। ভীষণ খারাপ লাগছিল। তার পর আমার লক্ষ্য ছিল, কম গতিতে বল করা। কারণ ওদের মেরে খেলতেই হত। তাই জানতাম সুযোগ আসবেই। সেটাই চেষ্টা করেছি।’’
মারাত্মক একজন প্লেয়ার শামি। মানুষ বলে না, দুঃখ মানুষকে এগিয়ে নিয়ে যায়। মহম্মদ শামির হয়তো তাই।
বুধবারের পর এ বারের বিশ্বকাপে ২৩ উইকেট নিয়ে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি শামি।
শামি বলেছেন, ‘‘সুযোগের অপেক্ষা করছিলাম। খুব বেশি সাদা বলের ক্রিকেট খেলার সুযোগ পাইনি। তবে সুযোগ পেলে কাজে লাগানোর চেষ্টা করি। লিগ পর্বে নিউ জ়িল্যান্ডের বিরুদ্ধেই প্রথম সুযোগ পেয়েছিলাম। অনেকে বোলিংয়ে বৈচিত্র্যের কথা বলেন। কিন্তু আমার লক্ষ্য থাকে শুধু সঠিক জায়গায় বল ফেলা। আমি বিশ্বাস করি ঠিক জায়গায় বল রাখতে পারলে নতুন বলে উইকেট আসবেই। ম্যাচের যে কোনও সময়ই উইকেট আসতে পারে।’’
ম্যাচের সেরা হওয়ার পর শামি বলেন, “সত্যি বলতে আমি সুযোগের অপেক্ষায় ছিলাম। আমি খুব বেশি সাদা বলের ক্রিকেট খেলিনি। বিশ্বকাপে আমার প্রত্যাবর্তন নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধেই হয়েছিল। অনেক ভ্যারিয়েশন নিয়ে আমরা আলোচনা করি। কিন্তু নতুন বলে উইকেট নেওয়া আমার পছন্দ।”
বলেন, “শেষ দুটো বিশ্বকাপে আমরা সেমিফাইনালে হেরে গিয়েছি। কে জানে আমরা আবার কবে বা আদৌ ফাইনালে যাওয়ার সুযোগ পাব কিনা। তাই আমরা নিজেদের উজাড় করে দিয়েছি। এই সুযোগ হাতছাড়া করতে চাইনি।”