কলকাতাঃ গোষ্ঠ পাল (Gostha Pal) গর্ব বাংলা এবং বাঙালির, লড়াইয়ের প্রতীক তিনি। একজন কিংবদন্তী। একজন সাদামাটা বাঙালি যে কাঁপন ধরাতে পারে তা প্রমাণ করে দিয়েছিলেন গোষ্ঠ পাল gostha pal। আজ ২০ আগস্ট তাঁর জন্মদিবস।
গোষ্ঠ পালের (gostha pal) আদি বাস ছিল বর্তমান বাংলাদেশের ফরিদপুরে । ছোটবেলা থেকেই ফুটবল ছিল তাঁর প্রাণ। অনেক ঘটনা আছে গোষ্ঠ পালের সাথে। যেগুলো থাকবে অমলিন আজীবন।
১৯৬২ সালে প্রথম ফুটবলার হিসেবে পদ্মশ্রী পুরস্কার পান গোষ্ঠ পাল (gostha pal)।তখনও এক ঘটনা ঘটে। পদ্মশ্রী পুরস্কার নেওয়ার সময় গলাবন্ধ কোট পরতে হত। সে কথা জানার পর গোষ্ঠ পাল সোজা রাষ্ট্রপতির আপ্তসহায়ককে চিঠি লিখে জানান যে, তাঁর পক্ষে গলাবন্ধ কোট পরে পুরস্কার নিতে আসা সম্ভব নয়।
তিনি ঐ কোট পরতে পারবেন না। সেই চিঠির জবাবও এসেছিল গোষ্ঠ পালের পক্ষেই। কারণ গোষ্ঠ পাল এমন একজন মানুষ। আপ্তসহায়ক লেখেন, ‘‘আপনি যে পোশাক পরেই আসবেন, মাননীয় রাষ্ট্রপতি তাতেই খুশি হবেন।’’
২৮ এপ্রিল, ১৯৬২-তে ভারতীয় ফুটবলার হিসেবে গোষ্ঠ পালই প্রথম পদ্মশ্রী খেতাব জিতেছিলেন।
লড়াই যার রক্ত, মজ্জায় থাকে তাঁকে হারানো এত সহজ কথা নয়। তেমনি একজন মানুষ গোষ্ঠ পাল। ফুটবল দিয়ে লড়াই করেছেন ইংরেজদের বিরুদ্ধে। খালি পায়ে ফুটবল খেলে তিনি ব্রিটিশদের একদম কাঁপুনি ধরিয়ে দিয়েছিলেন।এক বাঙালি কাঁপ উঠিয়ে দিত শ্বেতাঙ্গদের। হাজার হাজার মানুষের ভিড়।
১৯০৭ থেকে ১৯১৩ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত গোষ্ঠ পাল কলকাতার কুমারটুলি ক্লাবে খেলেছিলেন। মোহনবাগানের খেলোয়াড় রাজেন সেনের সাহায্যে তিনি ১৯১২ খ্রিস্টাব্দে মোহনবাগান দলে যোগ দেন । এর আগের বছরই মোহনবাগান বিদেশীদের হারিয়ে আইএফএ শিল্ড জয় করেছিল ।
উল্লেখযোগ্য যে, ১৯১৩ খ্রিস্টাব্দে মোহনবাগানের হয়ে গোষ্ঠ পাল প্রথম খেলেন । এরপর ২৩ বছর ধরে মোহনবাগানের হয়ে তিনি খেলেন। ১৯৩৬ সালে ফুটবল জীবন থেকে অবসর গ্রহণ করেন গোষ্ঠ পাল। গোষ্ঠ পালের জন্মদিনে টুইট করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।