গুয়াহাটিঃ একেকটি বিশ্বকাপ আয়োজন করতে ৪ বছর সময় নেয় ফিফা। প্ৰত্যেকবার বিশ্বকাপের পর বিপুল পরিমাণ অর্থ আয় করে ফিফা। ২০১৮ সালে বিশ্বকাপ হয়েছিল রাশিয়ায়। এবার বিশ্বকাপ হল কাতারে। আগের বারের তুলনায় এ বছর ফিফা ১ বিলিয়ন ডলারের চেয়েও বেশি অর্থ উপার্জন করেছে। সোমবার একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
রবিবার ফিফা বিশ্বকাপ কাতার ২০২২ আর্জেন্টিনা (Argentina) এবং ফ্রান্স (France)এর মধ্যে টানটান উত্তেজনাপূর্ণ ম্যাচ হয়। দক্ষিণ আমেরিকার দেশটি পেনাল্টি শুটআউটে ফ্ৰান্সের বিপক্ষে জয়ী হয়। ম্যাচটিতে ফ্রান্সের হয়ে কিলিয়ান এমবাপে হ্যাটট্রিক করেও দলকে জেতাতে অসমর্থ হন। তবে বিশ্বকাপের ফাইনালে ফ্ৰান্স হারলেও বাঘের মতোই শেষ পর্যন্ত লড়াই করেই হারে। সব মিলিয়ে উপভোগ্য ছিল ম্যাচটি।
রিপোর্টে প্ৰকাশ, এবার বিশ্বকাপ (World Cup) থেকে ফিফা (FIFA) উপার্জন করেছে ৭.৫ বিলিয়ন ডলার। যা কিনা ভারতীয় মুদ্ৰার বিচারে প্ৰায় ৬৩ হাজার কোটি টাকা। এই পরিমাণের উপার্জন হবে তা অনুমান করতে পারেনি ফিফা(FIFA)। বাস্তবিক আয় ছাপিয়ে গেছে ফিফা (FIFA)র অনুমানকে। ফিফা জানিয়েছে- যেহেতু একটি দেশের মধ্যেই এবারের বিশ্বকাপ আয়োজন হয়েছিল, তাই খেলোয়াড় সমেত ফুটবলের যাতায়াতও কমেছে অনেকটাই।
যে ৫দিক দিয়ে ফিফা(FIFA)র এই আয় এসেছে। টিভি স্ট্ৰিমিং রাইট (television broadcasting rights), বিজ্ঞাপন রাইট (marketing rights), লাইসেন্সিং রাইট (licencing rights), টিকিট বিক্ৰি(ticket sales) ও হসপিটালিটি রাইট (hospitality rights)। এই পাঁচটি দিকের মধ্যে সবচেয়ে টিভি স্ট্ৰিমিং থেকে অর্থ উপার্জন হয়েছে ফিফার। মোট আয়ের ৫৬ শতাংশই এসেছে টিভি স্ট্ৰিমিং থেকে। ২৯ শতাংশ অর্থ উপার্জন হয়েছে বিজ্ঞাপন বাবদ এবং বাকি সব ক্ষেত্ৰে আয় এসেছে অতিরিক্ত অর্থ।
পরের বিশ্বকাপ আয়োজিত হবে ২০২৬ সালে আমেরিকা(America), মেক্সিকো(Mexico) ও কানাডা(Canada)তে। তিন দেশে বিশ্বকাপ হওয়ায় এমনিতেই ২০২২এর চেয়ে খরচ বাড়বে ফিফা(FIFA)র। অন্যদিকে আয়ের মাত্রাও বাড়াতে চাইছে সংস্থাটি। FIFA -র পরিকল্পনা অনুযায়ী, ১১ বিলিয়ন ডলার অর্থ উপার্জনের লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। এবারের তুলনায় পরের বারে টিভি স্ট্রিমিং রাইট, বিজ্ঞাপন রাইট থেকে ৫০ শতাংশ বেশি অর্থ তোলার পরিকল্পনা রয়েছে ফিফা(FIFA)র।