নয়াদিল্লিঃ সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনকে (AIFF) ইতিমধ্যেই নির্বাসিত করেছে আন্তর্জাতিক ফেডারেশন অফ অ্যাসোসিয়েশন ফুটবল (FIFA)। এই খবর প্ৰকাশের সঙ্গে সঙ্গেই ফুটবলের ময়দানে ভারতীয় খেলোয়াড়দের ভবিষ্যৎ অন্ধকারে চলে গিয়েছে বলে মনে করছেন প্ৰাক্তন খেলোয়াড়রা। এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক বলে মনে করছেন প্ৰাক্তন ফুটবলাররা। ফিফার নির্বাসনে আন্তর্জাতিক ফুটবল ম্যাচ খেলতে পারবে না ভারত। এরফলে ভারতীয় ফুটবল দেশের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থেকে যাবে, এতে ভারতীয় ফুটবলের চরম ক্ষতি হল বলে মনে করছেন আয়োজকরা।
গত কয়েক মাস ধরেই (এআইএফএফ) সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের ওপর ঝুলছিল ফিফা-র নির্বাসনের খারা। নির্বাসিত হওয়ার বিষয়টি ফুটবল প্ৰেমীদের মধ্যে গুঞ্জন হচ্ছিল। সেই আশঙ্কাই সত্যি হল। তবে এই অন্ধকারের মধ্যেও কিছুটা হলেও দেখতে পাওয়া যাচ্ছে আশার আলো।
এই মামলা ইতিমধ্যেই দেশের সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) পৌঁছে গিয়েছে। শীর্ষ আদালতের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে আগামীকাল অর্থাৎ বুধবার (১৭ অগাস্ট) এই মামলার শুনানি হবে। সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা সুপ্রিম কোর্টের কাছে এই মামলার শুনানির জন্য আবেদন করেছিলেন। ইতিমধ্যেই তিনি আদালতকে এই মামলা সংক্রান্ত প্রত্যেকটা আপডেট দিয়েছেন। এরপরই আদালত শুনানির জন্য রাজি হয়ে যায়।
মঙ্গলবার ভোরবেলা ফিফা একটি প্ৰেস বিবৃতি জারি করেছে। সেখানেই ফিফা কমিটি ভারতীয় ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনকে সাসপেন্ড করার কথা বলা হয়েছে। সেইসঙ্গেই ভারতের অনূর্ধ্ব-১৯ মহিলা ফুটবল বিশ্বকাপ আয়োজনের অধিকারও ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে।
ওই প্রেস বিবৃতিতে ফিফা বলেছে, “ফিফা কাউন্সিল সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনকে তাৎক্ষণিক প্রভাবের ভিত্তিতে নির্বাসিত করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। কারণ এই সংস্থায় তৃতীয় পক্ষের প্রভাব রয়েছে। এটা ফিফার নিয়ম লঙ্ঘন করে। যখন AIFF-এর ক্ষমতা সঠিক হাতে আবারও আসবে এবং সাংবিধানিক নিয়ম মেনেই সব কাজকর্ম করা হবে, তখন এই নির্বাসন তুলে নেওয়া হবে।”
ফিফার এই নির্বাসনের ফলে আগামী ১১ থেকে ৩০ অক্টোবর ভারতে অনুর্ধ্ব ১৭ মহিলা ফুটবল বিশ্বকাপের আয়োজন করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছিল, সেটা আর করা যাবে না। এই টুর্নামেন্ট অন্য কোনও জায়গায় স্থানান্তর করা হবে। ফিফার তরফ থেকে ভারতীয় ক্ৰীড়া মন্ত্ৰকের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। আগামী অ্যাকশন পরিকল্পনা নিয়েও চলছে আলোচনা।
নির্বাসনের খবরে হতাশ ভারতীয় ফুটবল তারকা বাইচুং ভুটিয়া। তবে তিনি এতে ইতিবাচক দিকও দেখতে পাচ্ছেন। এতে ক্ৰীড়া মন্ত্ৰক আরও নড়েচড়ে বসবে। প্ৰয়োজনীয় যাবতীয় ব্যবস্থা গ্ৰহণ করতে উদ্যোগী হবে। আবার অনেকে এও মনে করছেন এতে ভারতীয় ফুটবলারদের ওপর চাপ পড়বে। ফলে তারা আরও ভালো খেলতে মরিয়া চেষ্টা চালাবে। ফুটবলের সঙ্গে জড়িত ক্ৰীড়া সংস্থাগুলিও নিজেদের খামতিগুলোকে কমানোর চেষ্টা করবে বলে মনে করা হচ্ছে।