গুয়াহাটিঃ যাকে বলে একেবারে টান টান স্নায়ুর লড়াই। বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে আর ওঠা হল না জাপানের। এদিন ম্যাচের প্ৰথম থেকেই ক্ৰোয়েশিয়া (Croatia) জাপান (Japan) দুই দলই দারুন খেলে। প্ৰথমার্ধের একেবারে শেষের দিকে ৪৩ মিনিটের মাথায় জাপান এক গোল করে এগিয়ে ছিল। গোলটি করেন জাপানের ডাইজেন মায়েদা (Daizen Maeda)। দ্বিতীয়ার্ধে একেবারে শেষের দিকে ৫৫ মিনিটের মাথায় Croatiaর ইভান পেরিসিচ (Ivan Pericic) গোল শোধ করেন। ১-১ গোলে ড্ৰ নিয়ে ম্যাচ অতিরিক্ত সময়ে গড়ায়। অবশেষে টাইব্ৰেকারে জাপান (Japan)কে হারিয়ে বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে উঠল ক্ৰোয়েশিয়া (Croatia)।
টাইব্ৰেকারে ঈগলের চোখ হয়ে উঠেছেন Croatiaর গোলরক্ষক ইভাকোভিচ। জাপানের ৩টি শট বাঁচিয়ে দেন তিনি। টাইব্ৰেকারে ক্ৰোয়েশিয়ার পক্ষে ফল ৩-১।
বিশ্বকাপের গতবারের ফাইনালিস্ট ক্রোয়েশিয়া(Croatia)র বিপক্ষে সমানতালে খেলে প্রথমার্ধেই ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে থেকেও দ্বিতীয়ার্ধে পেরেসিচের গোলে সমতায় ফেরে ক্রোয়েশিয়া।
এদিন ম্যাচের প্ৰথম দিকে গতিশীলভাবে খেলা শুরু করে Japan। ছোট ছোট পাস করে জাপানের জুনিয়া ইতো, দাইচি কামাদারা নিজেদের মতো করে খেলা সাজান। ক্ৰোয়েশিয়া চেষ্টা করে মাঝমাঠের দখল নেওয়ার। ম্যাচের ৩ মিনিটের মাথায় প্ৰথম সুযোগ পায় Japan। কাজে লাগাতে পারেনি। এরপর ৯ মিনিটের মাথায় টোমিয়াসুর ভুল থেকে সুযোগ পায় ক্ৰোয়েশিয়া। গোলকিপারকে একা পেয়েও গোল করতে পারেননি পেরিসিচ।
বলের দখল বেশি ছিল Croatiaর। ম্যাচের ৫৫ মিনিটের মাথায় লভরেনের ক্ৰস থেকে হেডে গোল করে সমতা ফেরান ক্ৰয়োশিয়ার ইভান পেরিসিচ। এরপর দ্বিতীয় গোলের জন্যও মরিয়া চেষ্টা করে পারেনি। দ্বিতীয়বার জাপানের রক্ষণকে ভাঙা যাচ্ছিল না। এরপর অতিরিক্ত ৩০ মিনিট সময়েও কোনও গোল আসেনি। ফলে টাইব্ৰেকারে গড়ায় ম্যাচ। টাইব্ৰেকারে ক্ৰোয়েশিয়ার পক্ষে ফল হয় ৩-১।