গুয়াহাটিঃ এ যেন সিনেমার চিত্ৰনাট্যকেও হার মানাবে। শ্বাসরূদ্ধকর ফাইনালে রোমাঞ্চ ছড়িয়ে টাইব্ৰেকারে (৪-২) গোলে জিতে তৃতীয়বারের মতো চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা(Argentina)। ম্যাচের ১০৮ মিনিটে গোল করে দলকে দ্বিতীয় দফায় এগিয়ে নেন লিও মেসি। এরপর মাত্ৰ ১০ মিনিটের ব্যবধানে ডি বক্সের মধ্যে হ্যান্ডবল হলে পেনাল্টি পায় ফ্ৰান্স(France)। পেনাল্টি থেকে গোল করে হ্যাটট্ৰিক করে ম্যাচে সমতা ফেরান ফ্ৰান্সের এমবাপে।
আজকের ম্যাচে যেন দিয়েগো মারাদোনার একটা হিডেন আশীর্বাদ ছিল আর্জেন্টিনার খেলোয়াড়দের মধ্যে।
পেনাল্টি থেকে গোল করে ফের অক্সিজেন পায় ফ্ৰান্স। ২ মিনিটে আর্জেন্টিনার কপালে ঝড়। ২ গোলে ৭৯ মিনিট এগিয়ে থেকেও ২ মিনিটে ২ গোল খেয়ে বসে আর্জেন্টিনা। পেনাল্টি থেকে গোল করার মাত্ৰ ১ মিনিটে ব্যবধান গোল করে ফ্ৰান্স (২-২) সমতায় ফেরান কিলিয়ান এমবাপে। ওতামেন্দির ফাউলে স্পট কিক করে বিশ্বকাপে নিজের ৬ষ্ঠ গোল করেন এমবাপে। এই গোলের রেশ কাটতে না কাটতে আবারও গোল করেন এমবাপে।
ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। অতিরিক্ত সময়ে ম্যাচ গড়ানোর পর ১০৮ মিনিটে ডান দিক থেকে লাউতারো মার্তিনেসের দ্ৰুত গতিতে কোনাকুনি শট কোনওমতে ফেরান হুগো লরিস,তবে বল হাতে রাখতে পারেননি তিনি। গোলমুখে বল পেয়ে ডান পায়ের টোকায় দলকে আনন্দে ভাসান লিও মেসি। ১১৮ মিনিটে ডি বক্সের মধ্যে গনসালো মনতিয়ালের হ্যান্ডবলের জন্য পেনাল্টি পায় ফ্ৰান্স। পেনাল্টি থেকে গোল করে হ্যাটট্টিক করেন এমবাপে, সেই সঙ্গে দলকে ৩-৩ গোলে সমতায় ফেরান।
এরপর পেনাল্টিতে ৪-২ গোলে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ান হয় আর্জেন্টিনা। আর্জেন্টিনা ৩(৪)র কাছে ফ্ৰান্স ৩(২) গোলে হেরে যায়। মেসি(Messi)র হাতে ওঠে বিশ্বকাপ। ৩৬ বছর পর বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয় আর্জেন্টিনা। ১৯৭৮ তারপর ১৯৮৬ তারপর ৩৬ বছর পর আবার বিশ্বকাপ আর্জেন্টিরার।