গুয়াহাটিঃ একজন মানুষের ওঠা বসা, হাঁটা চলা, কথা বলার ধরন সমস্ত কিছুই তাঁর ব্যক্তিত্বকে প্ৰকাশ করে। তবে একজনের খাওয়ার ধরন দেখেও তাঁর ব্যক্তিত্ব প্ৰকাশ পায়। হালের গবেষণা বলছে কার কী ধরনের খাওয়ার ধরন (Eating habits) তার ওপর নির্ভর করে ব্যক্তিত্ব(Personality)। চলুন দেখে নেওয়া যাক মানুষের খাওয়ার ধরন দেখে কীভাবে তাঁর ব্যক্তিত্ব (Personality) সম্পর্কে স্টাডি করা যায়-
প্ৰতিনিধিত্বমূলক ছবি, সৌঃ আন্তর্জাল
সাধারণত যারা আস্তে ধীরে সুস্থে খেতে ভালোবাসেন, তাঁদের অনেক ধৈর্যশক্তি থাকে। প্ৰতিটি কামড়ের স্বাদ গ্ৰহণ করতে ভালোবাসেন। এটা সেই ব্যক্তির ধৈর্যের বহিঃপ্ৰকাশ। এই ধরনের মানুষ নিজের জীবনে কর্মক্ষেত্ৰেই একই প্যাটার্ন অনুসরণ করেন।
অনেকেই দ্ৰুত খাবার খেতে ভালোবাসেন। তারা হয় মাল্টিটাস্কার। এই ধরনের মানুষ হয় খুব প্ৰতিযোগিতামূলক। প্ৰকৃতপক্ষে নির্দিষ্ট কোনও কাজ তারা আগে থেকেই করে রাখতে ভালোবাসেন। তাঁরা খুব দুঃসাহসিক (Adventurous) হন। পাশাপাশি উচ্চাকাঙ্খী (Ambitious) এবং ধৈর্যহারা (Impatient) হন।
যদি কেউ খাওয়ার সময় অন্যের প্লেটে সার্ভ করতে ভালোবাসেন, তারা আসলে হয় একটু গোছানো স্বভাবের। অন্য মানুষের প্ৰতি যত্নবান হন। এমন ব্যক্তিরা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন (Neat and clean) থাকতে ভালোবাসেন। অগোছালো ও অপরিষ্কার ঘর-বাড়ি বারবার গোছানোর অভ্যাস থাকে তাঁদের।
প্ৰতিনিধিত্বমূলক ছবি, সৌঃ আন্তর্জাল
যদি কোনও ব্যক্তি কষ্ট করে রান্না না করে রেস্তোরাঁয় (Restaurant) খাবারের অর্ডার দিয়ে বেশিরভাগে খেতে ভালোবাসেন, তাহলে বুঝে নিতে হবে সেই ব্যক্তি বা নারী অলস স্বভাবের। এই ধরনের মানুষের জীবনে ব্যর্থ হওয়ার ভয় থাকে। তবে এই ধরনের মানুষ কোনও কিছু শিখতে বা জানতে অন্যদের তুলনায় আগ্ৰহী থাকেন।
খাওয়ার সময় যাদের প্লেট অগোছালো হয়ে থাকে, সব তরকারি মিলিয়ে কিংবা খাবার প্লেটে ছড়িয়ে ছিটিয়ে খান, তারা বন্ধুত্বপূর্ণ (Friendly) এবং দায়িত্ববান স্বভাবের (Responsible nature) হন। তারা কাজ পছন্দ করেন। এমন ব্যক্তিরা তাঁদের প্ৰিয়জনকে সময় দিতে কুন্ঠাবোধ করেন না।
যারা নিত্য নতুন খাবার (new food recipes) তৈরি করতে এবং খেতে আগ্ৰহী বা পরীক্ষামূলক খাবার তৈরি করে থাকেন, তারা জীবনে ঝুঁকি নিতে পারেন। তাঁরা প্ৰচণ্ড,সাহসী হন।
অনেকেই খাওয়ার সময় প্ৰচন্ড শব্দ করে খান (Munch and crunch)। যদিও এই অভ্যাসে অপরজন বিরক্তি পান। এই ধরনের মানুষরা বহির্মুখী এবং খুব বন্ধুত্বপূর্ণ হন। তারা নিজের কাজে মনোসংযোগ করেন, অন্যরা তাঁকে নিয়ে কি ভাবছেন সেসব নিয়ে ভাবেন না।