গুয়াহাটিঃ প্রযুক্তির আশীর্বাদে বর্তমানে সবার হাতে হাতে smartphone। দিনের ২৪ ঘন্টার মধ্যে বেশির ভাগ সময়ই কাটে এই মোবাইল ফোনের স্ক্ৰিনের দিকে তাকিয়ে। কাজে অকাজে আমরা প্ৰায় সকলেই smartphoneএর প্রতি আসক্ত হয়ে পড়েছি। করোনা মহামারির সময় থেকে এ ধরনের আসক্তি ধীরে ধীরে বেড়ে চলেছে। এই আশক্তি শারীরিক ও মানসিকভাবে ক্ষতি করছে।
smartphoneএর আসক্তি কিভাবে কমানো যায়। smartphone ব্যবহারের জন্য একটা নিৰ্দিষ্ট সময় বেছে নিতে হবে। হতে পারে সেটা সকালে আধা ঘণ্টা, দুপুরে ১৫ মিনিট, রাতে আধা ঘণ্টা। এর জন্য অ্যালার্ম লাগানোর দরকার হলে সেটি সেট করে রাখতে হবে।
smartphoneএর খারাপ প্ৰভাব থেকে বাঁচতে হলে দিনে কতক্ষণ smartphone ব্যবহার করা হচ্ছে সেদিকে নজর রাখতে হবে। প্ৰতিদিন আগের দিনের চেয়ে কম smartphone ব্যবহার করার অভ্যাস করলে ধীরে ধীরে Mobileএর আসক্তি কমে আসবে।
দিনের নির্দিষ্ট কিছু সময়ের জন্য Mobile ফোন বন্ধ করে দিতে হবে। ফলে নিজেদের সঙ্গে সঙ্গে ফোনও কিছুটা আরাম পাবে।
ফোনের নোটিফিকেশন লিমিট করে দিতে হবে। ফলে বারবার ফোনের Social Media, মেইল অথবা মেসেজিং অ্যাপের Notification আসবে না।
দিনে কিছু ঘণ্টার জন্য ফোনের ডেটা অফ করে দিতে হবে অর্থাৎ ইন্টারনেট বন্ধ করে দিতে হবে। এতে ফোনের ব্যাটারির সাশ্রয় হবে এবং ফোনের দিকে সহজেই নজর যাবে না। এছাড়াও পড়াশোনা করার সময় নিজের ফোন অন্য কারও কাছে জমা রাখতে হবে।
সাপ্তাহিক ছুটির দিনে স্মার্টফোন ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন। এ সময় ফিচার ফোন ব্যবহার করুন। স্মার্টফোন বাড়িতে ফেলে ঘুরতে বেরিয়ে পড়ুন।
গবেষণায় দেখা গেছে, একজন smartphone ব্যবহারকারী সারা দিনে গড়ে তিন ঘণ্টা ১৫ মিনিট সময় ফোনের পেছনে ব্যয় করেন। তবে কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের ক্ষেত্রে এ সময়টা অনেক বেশি। তারা গড়ে ১০ ঘণ্টার বেশি সময় Mobile ফোনকে দেন। যে কোনও অভ্যাস তৈরি হতে প্রায় ২১ দিন পর্যন্ত সময় লাগে। সে অভ্যাস আবার ছাড়তে গেলে প্রায় একই সময়ের প্রয়োজন হয়।Smartphoneকে দূরে সরিয়ে রেখে বই নিয়ে বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে পারলে আখেরে নিজেরই লাভ হবে। মগজের তথ্য ধারণ ক্ষমতা বাড়বে।