গুয়াহাটিঃ বেগুন খাওয়ার অনেক উপকারিতা রয়েছে। বেগুনে (Brinjal) আছে উচ্চমাত্রার আঁশ-জাতীয় খাদ্য উপাদান। যা বদ হজম দূর করে। চিন(China), বাংলাদেশ(Bangladesh), ফিলিপিনস(Philippines), ভারত (India) এবং পাকিস্তানে (Pakistan) এই সবজির প্ৰচুর ফলন হয়।
ঘা প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে বেগুন (Brinjal)। জ্বর হওয়ার পর মুখ ও ঠোঁটের কোণে ঘা, জিহ্বার ঘা হয় এই ঘা সাধারণত রিব্লোফ্ল্যাভিন অভাব থাকলে হয়।এছাড়া জ্বর জ্বর ভাব দূর করতে সাহায্য করে।এই রিব্লোফ্ল্যাভিন বেগুনে আছে। তাই বেগুন খেলে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যেতে পারে।
ছবি, সৌঃ আন্তর্জাল
কোষ্ঠ্যকাঠিন্য দূর ও হজমে সাহায্য করে বেগুন (Brinjal)। বেগুনে আছে প্রচুর পরিমাণ আঁশ।এর ফাইবার শরীরের খাদ্য পাকস্থলীতে পরিপাক রসের উৎপাদন বাড়ায় এবং পুষ্টি উপাদান শোষণে সাহায্য করে।
যাদের রক্ত স্বল্পতা সমস্যা রয়েছে তাদের বেগুন খাওয়া অবশ্যই প্ৰয়োজন। কারণ বেগুনে (Brinjal) আছে আয়রন। যা শরীরে রক্তের বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।
যাদের ডায়রিয়া হয় তাদের শরীরে জিংকের অভাব দেখা দিতে পারে। ডায়রিয়া ভালো হয়ে যাওয়ার পর বেগুন খেলে এই জিংকের অভাব পূরণ করবে বেগুন (Brinjal)।
ছবি, সৌঃ আন্তর্জাল
চোখের বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ করে এবং দৃষ্টিশক্তি তীক্ষ্ণ করে।কারণ বেগুন (Brinjal) আছে ভিটামিন ‘এ’। হাড়ের গঠন ও বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।দাঁতের গঠনকে মজবুত করে ও মাড়িকে শক্তিশালী করে।কারণ বেগুনে আছে প্রচুর ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেশিয়াম।এছাড়া এতে ভিটামিন ‘সি’ আছে যা নখকে মজবুত করে। নখের গঠন মজবুত হয়।
বেগুনে (Brinjal) এমন কিছু উপাদান আছে যা ক্যানসার (Cancer) প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। পাকস্থলী, ক্ষুদ্রান্ত্র, বৃহদন্ত্রের এই সব ক্যানসারকে প্রতিরোধ করে। তাই যারা প্রতিদিন বেগুন খায় তাদের ক্যানসার হওয়ার সম্ভাবনা অন্যান্যদের থেকে অনেক কম।
জ্বর হলে সাধারণত মুখে কোনও স্বাদ থাকে না। তারা যদি জ্বরের পর বেগুনের বিভিন্ন রান্না করা রেসিপি খান তাদের মুখের স্বাদ বা রুচি ফিরে আসবে।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্ৰণে সাহায্য করে বেগুন। কারণ বেগুনে আছে ফাইবার ও কম দ্রবণীয় কার্বোহাইড্রেট।যা রক্তে গ্লুকোজ ও ইনসুলিনের সমস্যায় উপকার করে।এতে চিনির পরিমাণ খুবই সামান্য। তাই রক্তে শর্করার মাত্রা কম করতে সাহায্য করে বেগুন।
বেগুন খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে।কোলেস্টরলের মাত্রা ও উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে।
বেগুনে আছে ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট।তাই অনেক সময় নিয়মিত বেগুন খেলে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে যায়।
তবে যাদের অ্যালার্জির সমস্যা (allergic) আছে তারা বেগুন (Brinjal) এড়িয়া যাওয়াই ভালো। কারণ বেগুন খেলে চুলকানি অথবা অ্যালার্জির (allergic) সমস্যা বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।